দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। ফলে কাজ হারিয়ে সমাজের গরিব দুঃস্থ পরিবারগুলি মহা সংকটে পড়েছে। তাঁদের অনাহারে মানবিক দুর্দশার বিষয়টি বিবেচনা করে জামাআতে ইসলামী হিন্দ অন্যান্য সংস্থাকে সাথে নিয়ে দরিদ্র অসহায় মানুষদের ত্রাণ সরবরাহ করতে এগিয়ে এসেছে। সম্প্রতি, জামাআত ত্রাণ কাজের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা লকডাউন বাস্তবায়নের পর থেকে ২২ টি রাজ্যে চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামাআতে ইসলামী প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ৮৮৮৪১ জনকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছে। ৫৮০৫১৯টি খাবার কিট, ৪৩২২২৮টি খাবারের প্যাকেট, ৩৮৮৮৫২টি মাস্ক এবং ৩৯৭০ স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে। এছাড়া ১০০৬৫৫৩ জন ব্যক্তিকে নগদ আর্থিক সাহায্য এবং ৪৪৫০৩ লোককে অনান্য পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। ২২ টি রাজ্যে যে ত্রাণ কাজ করা হয়েছে তার বিবরণ দিয়ে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
জামাআতের সমাজসেবা সচিব মোহাম্মদ আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা এই সমস্ত ত্রাণ সামগ্রী তাঁদের বায়তুলমাল (কোষাগার) থেকে এবং সমস্ত রাজ্য, শহর এবং শহরে তাদের সংগঠনের মাধ্যমে চালিয়েছে। তিনি বলেন, ‛আমরা আমাদের সমস্ত শাখাকে তাদের এলাকায় ত্রাণ কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা মুসলিম ও অন্যান্য সকলকে অসহায় মানুষের জন্য অর্থ ব্যয় করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। তাতে কিছু মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও, আমাদের বায়তুলমালের ত্রাণ কাজের জন্য একটি রিজার্ভ রয়েছে। যখনই কোনও জাতীয় দুর্যোগ আসে আমরা ত্রাণ কাজ করি।’
আহমদ আরও বলেন, প্রতিটি রাজ্যে, শহরে ইউনিটে আমাদের বায়তুলমাল রয়েছে। তিনি আরও জানান, দশ কোটি টাকা ব্যয় করা তাঁর সংগঠনের পক্ষে তেমন বড় বিষয় নয়। তিনি বলেন, তাঁরা সমাজের ধর্ম জাতি নির্বিশেষে সবার মধ্যে ত্রাণের কাজ করেন। এই ত্রাণ কাজগুলি করার সময় তারা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করেন না। এখানে, এই ত্রাণ কাজগুলিতেও, আমরা হিন্দু এবং মুসলমান উভয়কেই খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করেছি। ৩ মে অবধি লকডাউন পর্যন্ত জামাআত সমাজের অসহায় লোকদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মোহাম্মদ আহমদ সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করেন।
অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।
আমাদের খবরাখবর ভালো লাগলে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করে পাশে থাকুন