Wednesday, January 22, 2025
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

করোনা কালে বেসরকারি স্কুল থেকে ‘নিখোঁজ’ ১২.৫১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী, বিজেপি শাসিত রাজ্যের রিপোর্টে শোরগোল

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের নথিভুক্তের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু বেসরকারি স্কুলগুলিতেও যে খারাপ পরিস্থিতিতে, তা সবার সামনে এসে পড়ল। এব্যাপারে বিজেপি শাসিত হরিয়ানার অবস্থা খুবই খারাপ। বর্তমান বছরে প্রায় ১২.৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর নাম স্কুলে অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। এব্যাপারে জেলার আধিকারিকদের কাছে ডিরেক্টরেট অফ স্কুল এডুকেশনের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

হরিয়ানার বেসরকারি স্কুলগুলির তরফে হরিয়ানা স্কুল শিক্ষা দফতরে দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এবছরে (২০২১-২২) নথিভুক্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৭.৩১ লক্ষ। কিন্তু গতবছরের জুনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সংখ্যাটা ছিল ২৯.৮৩ লক্ষ। রাজ্যে ১৪,৫০০ সরকারি এবং ৮,৯০০ বেসরকারি স্কুল রয়েছে।

স্কুল এডুকেশন দফতর জানিয়েছে, বেসরকারি স্কুলে পড়া ১২.৫১ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর তথ্য পাওয়া যায়নি। সেই কারণে দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওইসব স্কুলের প্রধান এবং পরিচালন কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য যোগার করতে। যদি সেখান থেকে স্কুলছুটের সংখ্যা কিছুটা কমানো যায়। হরিয়ানার স্কুল শিক্ষামন্ত্রী কানোয়ার পাল গুর্জর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি এই রিপোর্টে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন।

ফাতেহাবাদ জেলার একটি বেসরকারি স্কুল ম্যানেজমেন্টের এক পদাধিকারী জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি এবছরও স্কুল খোলেনি। সেই পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলের নিচুর দিকে ছাত্রছাত্রীরা বর্তমান সেশনে স্কুলে আসেনি। তবে এই জেলারই এক শ্রমিক নেতা জানিয়েছেন, তিনি এমন অনেককেই জানেন, আয় কমে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা শিশুদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না। তিনি আরও বলেছএন, পরিকাঠামো শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই তাঁদের কাজ হারিয়েছেন। তাই তাঁদের শিশুরা বাড়িতেই বসে রয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেখানের অনের পড়ুয়াই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের সদস্য। কাজ না থাকায় পরিবারের কর্তার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরাও ফিরে গিয়েছেন তাঁদের পুরনো জায়গায়। অন্যদিকে স্কুল না খোলায় কাজ হারিয়েছেন, বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। বেসরকারি স্কুলগুলির দাবি এই পরিস্থিতি তাদের সাহায্যের জন্য সরকার যেন এগিয়ে আসে।

অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলগুলির তরপে দাবি করা হয়েছে, শিশুরা সরকারি স্কুলে যাচ্ছে। কেননা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কাইথাল জেলার ভাট্টাগ্রামে মাইক নিয়ে করা প্রচারে বলা হচ্ছে, বাবা-মা-রা যেন সন্তানদের সরকারি স্কুলে পাঠান। কেননা সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকারা কঠোর পরিশ্রম করছেন ছাত্রছাত্রীদের জন্য।

Leave a Reply

error: Content is protected !!