দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : সারাদেশে প্রাক্তন বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রায় সাড়ে চার হাজার ফৌজদারি মামলা জমে রয়েছে। গোটা দেশের ২৪টি হাইকোর্টে এই সব ফৌজদারি মামলা জমে রয়েছে। এহেন তথ্য দেখে বিস্ময় প্রকাশ করতে বাধ্য হল সুপ্রিমকোর্ট। রাজনীতিবিদরা প্রভাব খাটিয়েই যে তাঁদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলার তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া আটকে রেখেছেন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ নিয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়ক বা সাংসদদের মতো আইন প্রণেতাদের বিরুদ্ধে চলতে থাকা ৪৪৪২টি মামলার মধ্যে এমন ১৭৪টি মামলা রয়েছে যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন জেলের শাস্তি হতে পারে। আবার ৩৫২টি মামলার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বা সুপ্রিমকোর্টই বিচার প্রক্রিয়ার উপরই স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের দায়ের করা একটি মামলাতে এই তথ্যগুলি উঠে এসেছে। সাজাপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানিয়ে মামলা করেন অশ্বিনী কুমার। বর্তমান সাজাপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদরা ৬ বছর নির্বাচনে লড়তে পারেন না। আবেদন খতিয়ে দেখার পর শীর্ষ আদালত দেশের ২৪টি হাইকোর্ট থেকে বর্তমান ও প্রাক্তন সমস্ত বিধায়ক এবং সাংসদদের বিরুদ্ধে চলতে থাকা সব ফৌজদারি মামলার তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল।
এই মামলায় আদালতের পরামর্শদাতা হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী বিজয় হনসারিয়াকে দায়িত্ব দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। তাঁর কাছেই এই সমস্ত তথ্য জমা পড়ার কথা। হাইকোর্টগুলির থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতকে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন বিধায়ক এবং সাংসদদের বিরুদ্ধে জমে থাকা ফৌজদারি মামলাগুলির দ্রুত শুনানির জন্য প্রতিটি জেলায় বিশেষ আদালত তৈরি করা হোক। প্রয়োজনে সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগ থেকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।