দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ৮০ বছর বয়স, তাতে কি? বয়সটা যে শুধুমাত্র তার কাছে একটা সংখ্যা। হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্ট সহ্য করতে পারেননি। সারা জীবন মজদুরি করা মানুষটা আজ পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে। কুলি মুজিবল্লাহ রহমান।
লকডাউন শুরু হওয়ার পর এই শ্রমজীবী মানুষ গুলো কাজ হারিয়েছে, এই কুলি মুজিবল্লাহ রহমানও তাদেরই একজন। যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকরা অন্ন সংকটে দিন কাটছিল, একবেলা খাওয়া হলে আর এক বেলা খাওয়া হতো না। সেই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে ট্রেনের টিকিটের মূল্য নিতে কুন্ঠিত বোধ করেননি সরকার, কিন্তু কুন্ঠিত বোধ করেছেন কুলি মুজিবল্লাহ রহমান।
শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ায় লখনউয়ের চারবাগ স্টেশনে যখন শ্রমিকদের ভিড় উপচে পড়েছে বাক্স, প্যাটরা নিয়ে, তখন নিজের সাধ্যমত সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কুলি মুজিবল্লাহ রহমান। এই বয়সে একবারে ৫০ কেজি ওজন নিতে পারেন, পয়সাও নেন। কিন্তু এখন করোনার পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে ফ্রী সেবা দিচ্ছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার কাজকে সহজ করে দিতে তাঁদের মালপত্র, বাক্স, সুটকেস পৌঁছে দিচ্ছেন গন্তব্যে, বিনাপয়সায়।
শুধু মাল বয়েই ডিউটি শেষ নয়, শ্রমজীবী পরিবারগুলিকে বলে দিচ্ছে এই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কী কী করণীয়। এই বয়সেও তিনি আট থেকে দশ ঘণ্টা কাজ করেন। এই সময়ের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে পরিসেবা দিচ্ছে এবং তাঁদের জন্য কিছু খাবার ও জলের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে। তাঁর এমন কাজে অকুণ্ঠ প্রশংসা করছেন সবাই। একাধিক একাউন্ট থেকে তাঁর ছবি ও ভিডিও পোস্ট হচ্ছে। সব শেষে একটাই প্রশ্ন রয়ে গেল সরকার কবে গরিব মানুষের কষ্ট বুঝবে?