দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ের মাঝেই আরও একটি বড় দুর্নীতির পর্দাফাঁস হল। এমনিতেই খরা, বন্যা এবং ঝড়ের মতো দুর্যোগের সময় সরকার প্রচুর টাকা উপার্জন করে।
সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) নির্দেশ জারি করেছে যে, চীন থেকে আমদানি করা করোনা পরীক্ষার কিট যেন ব্যবহার করা না হয়। এই কিটগুলিতে করোনা টেস্টের ফলাফল ঠিকঠাক আসছে না।
আইসিএমআর স্বীকার করছে যে, তাঁরা চাইনিজ অফিসারদের সাথে একমত হয়ে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি কিট অর্ডার করেছিলেন। হরিয়ানার বিজেপি সরকার তড়িঘড়ি চীনকে দেওয়া ১ লাখ কিটের অর্ডার বাতিল করেছে। কারণ, ওই কিটের দাম পড়ে যাচ্ছে প্রায় ৭৮০ টাকা।
হরিয়ানা সরকারের কথায়, দক্ষিণ কোরিয়ার ভারতীয় সংস্থা এসডি বায়োসেনসর এই একই কিট ৩৮০ টাকায় বিক্রি করছে। মজা এখানেই! ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকার এই সংস্থার কাছ থেকেই ৩৩৭ টাকায় করোনা টেস্টের জন্য কিট কিনেছে।
কিন্তু আইসিএমআর ‛নকল, খারাপ বা অকেজো’ করোনা টেস্টিং কিটের জন্য চীনকে দিয়েছিল প্রায় ৭৯৫ টাকা। কর্ণাটকের বিজেপি সরকারও এই একই মূল্যে চীনের কাছ থেকে করোনা কিট নিয়েছিল। তবে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার চীন থেকেও ৬৪০ টাকায় ওই কিট কিনেছিল।
কিছু প্রশ্ন –
◆ চীনা কোম্পানির একই কিটের আলাদা আলাদা দাম কেন?
◆ একটি রাজ্য যখন সেই কিট ৩৩৭ টাকায় কিনতে পারছে, তখন দ্বিগুন দামে সেই একই কিট কেনার অর্থ কি?
◆ আইসিএমআর টেন্ডার কেন করেনি?
◆ অন্যান্য রাজ্যের টেন্ডারের বিশেষত্ব কি?
◆ বিডিং (নিলামী সংস্থা) সংস্থাগুলি কাদের? তাঁদের মূল্য কত?
◆ দালাল কারা? তাঁদের মূল্য কত?
◆ করোনা টেস্টিং কিটগুলোর মান নির্ণয় কে করছে? মান নির্ণয় না করে রাজ্যগুলি কীভাবে কিট পাচ্ছে?
◆ পুরো বিষয়টিতে আইসিএমআর ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূমিকা কী?
◆ এবিষয়ে কেন্দ্র সরকারের গাইডলাইন কী?
Support Free & Independent Journalism