দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিরুদ্ধে দায়ের হল আদালত অবমাননার মামলা। দুই হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এসএল শর্মা নামের এক আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ, বিএসএফের প্রাক্তন ডিজি রাকেশ আস্থানাকে চাকরির মেয়াদ শেষের মাত্র ৩ দিন আগে দিল্লি পুলিশের ডিজির পদে নিয়োগ করে শীর্ষ আদালতের অবমাননা করেছেন মোদী-শাহ।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই রাকেশ আস্থানাকে বিএসএফের ডিজির পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্র। এর আগে ২০১৮ সালে সিবিআইয়ের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মামলা ঘিরে গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল। ওই মামলার কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন রাকেশ আস্থানা এবং সিবিআই–এর প্রধান অলোক বর্মা। আস্থানার বিরুদ্ধে সরাসরি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। পালটা অলোক বর্মার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আস্থানাও। আর এই সবের পরেই দু’জনকেই তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাকেশ আস্থানাকে বিএসএফ-এর ডিজির পদে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। আজই তাঁর চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দিন দুই আগেই তাঁকে দিল্লি পুলিশের ডিজির পদে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। এবং তাঁর চাকরির মেয়াদও একবছর বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আইনজীবী এসএল শর্মার দাবি, আস্থানার চাকরির মেয়াদ এভাবে বাড়িয়ে তাঁকে দিল্লি পুলিশের পদে বসিয়ে শীর্ষ আদালতের অবমাননা করেছেন মোদি-শাহ। আবেদনকারী বলছেন, এর আগে এক মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অবসরের জন্য ছয় মাস বা তার কম সময় বাকি রয়েছে এমন কোনও অফিসারকে পুলিশের কোনও বাহিনীর প্রধান পদে নিয়োগ করা যাবে না। এটা সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা এবং সংবিধান ও আইনের লঙ্ঘন। আবেদনকারী ওই আইনজীবীর প্রশ্ন, এরপরও কি অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদির নিজেদের পদে থাকার অধিকার আছে?
প্রসঙ্গত, এর আগেও এই এসএল শর্মা একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরদ্ধে মামলা ঠুকেছেন। রাফালে চুক্তি, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মতো ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলাও তাঁরই করা। এমনকী পেগাসাস ইস্যুতেও শীর্ষ আদালতে তিনিই মামলা করেছেন।