দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতি আসার আগে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিন পালিত হত বেঙ্গল কেমিক্যালসের দুই কারখানায়। কারখানার অন্দরে বা বাইরে সভা সমিতি করে তাঁর জন্মদিন উদযাপন হত। কিন্তু দেশে করোনা ঢেউ আসার পর থেকেই তাঁর জন্মদিনেও কালো ছায়া। মনমরা কর্মীরা।
তবে কর্মীদের এই মনমরার কারণ কি শুধুই করোনা? উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে এল কেন্দ্রীয় নীতি। প্রফুল্লচন্দের স্বপ্নের কারখানা এখন ঝাঁপ বন্ধের অপেক্ষায়। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে এই রাসায়নিক কারখানা বন্ধ করে দেবে। আর সেই থেকেই বন্ধের প্রহর গুনছেন কর্মচারীরা।
প্রফুল্লচন্দের স্বপ্ন আজ ধূলিসাৎ হওয়ার পথে। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কোপে পড়ে ‘স্বপ্নভঙ্গ’ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের। বলা চলে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে উপেক্ষিত দেশের অন্যতম রসায়নবিদ।
১৮৬১ সালের ২ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন এই মহান প্রতিভা। পরাধীন দেশে তাঁর বহু অবদানের অন্যতম হল ‘বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড’। একসময়ে দেশের গর্ব ছিল এই কোম্পানি। বলা চলে, প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের স্বপ্ন ছিল এই সংস্থা। যেমন জন্মের পর থেকে সন্তানকে একটু একটু করে বড় করে তোলে তাদের পিতা মাতারা, তেমনই বেঙ্গল কেমিক্যালস তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে তার উত্থানের প্রতি মুহূর্ত যত্ন সহকারে নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন প্রফুল্লচন্দ্র রায়।
একসময় ভারতে সবচেয়ে প্রচলিত ছিল এই কোম্পানির তৈরি হওয়া দ্রব্য। ১৯০১ সালে প্রফুল্লচন্দ্র রায় তৈরি করেন দেশের প্রথম ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে দেশের বুকে চারটি কারখানা আছে এই প্রতিষ্ঠানের। তবে কালের নিয়মে ধুঁকতে বসেছে আচার্যের সেই স্বপ্ন।