দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও দাবিতে অনড়। কৃষিবিলের প্রতিবাদে একদিনে প্রতিকী অনশনে বসতে চলেছেন কৃষকদের ফের চড়ছে উত্তেজনার পারদ। দিল্লির উপকণ্ঠে এখনও অবস্থান বিক্ষোভে কৃষকরা। যদিও দিল্লিতে এখনও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কৃষক। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ একদিনের প্রতিকী অনশনে বসছেন তাঁরা। সেই আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবালও।
আজ একদিনের প্রতিকী অনমশনে বসছেন কৃষকরা। দিল্লির কাছেই গাজিপুরে অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি অনশনও করবেন কৃষকরা। যাঁরা আলোচনায় বসতে চাইছেন সরকারের সঙ্গে তাঁরা আন্দোলনের শরিক নন বলে হুঁশিয়ার করেছেন কৃষক নেতা শিব কুমার কাক্কা। যতদিন না দাবি পূরণ করছে সরকার ততদিন আন্দোলন জারি থাকবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন কৃষক নেতারা। এবং আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
মোদী সরকারের কৃষি বিলের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবালও। আজ কৃষকদের অনশন আন্দোলনে সামিল হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। মোদী সরকারের সমালোচনা করে কেজরিওয়াল বলেছেন, কৃষকদের দাবি না মেনে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন মোদী। আজ তারই প্রতিবাদে কৃষকদের সঙ্গে একদিনের প্রতিকী অনশনে সামিল হবেন তিনিও। দলের নেতা কর্মীদেও এউ আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কৃষকদের সঙ্গে মোদী সরকারের ৫টি বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। দফায় দফায় আলোচনার পরেও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। সরকারের কাছ থেকে হ্যাঁ অথবা না-এ জবাব চেয়েছেন তাঁরা। অমিত শাহের বাসভবনে বসেছিল পঞ্চম দফার বৈঠকটি। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধানসূ্ত্র বেরোয়নি। তারপরেই ভেস্তে যায় আলোচনায় বসার সব প্রক্রিয়া।
কৃষি আইনের প্রতিবাদে ডাকা ভারত বনধ সফল হয়েছে। প্রায় ১৬টি রাজনৈতিক সংগঠন কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারমধ্যে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসও রয়েছে। শরদ পাওয়ারের এনসিপিও সমর্থন জানিয়েছে কৃষক আন্দোলনকে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে পথে নেমেছেন। পশ্চিমবঙ্গে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।