দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিক দেখতে গিয়ে দুটিই কোনওভাবেই বজায় রাখতে পারছে না সরকার। তবে স্বাস্থ্যের দিকটিই প্রধান গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য এবং কেন্দ্র। আর এই পরিস্থিতিতে দিল্লির এইমস -এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বললেন, এবার সময় হয়ে গিয়েছে শিক্ষার ওপরে জোর দেওয়ার। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে, তাই দ্রুত স্কুল-কলেজ খুলতে পদক্ষেপ নিক সরকার।
প্রসঙ্গত, করোনার জেরে ২০২০-র মার্চ মাস থেকেই কার্যত বন্ধ স্কুল, কলেজ। প্রথম ঢেউ কমায় উঁচু ক্লাসের শিক্ষার্থীদের স্কুল শুরু করেছিল রাজ্যগুলি। তবে দ্বিতীয় ঢেউ ফের আঘাত হানায় বন্ধ করে দিতে হয় স্কুল-কলেজ। যার ফলে বাড়িতেই দিন কাটছে পড়ুয়াদের। ভারতে এমন লক্ষ লক্ষ পরিবার রয়েছে যাদের পরিবারের পক্ষে অনলাইনে পড়াশোনার খরচ চালানো সম্ভব নয়। অনেক প্রান্তিক জায়গার মানুষ রয়েছেন, যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহারই করেন না। এই বিষয়ে এইমস -এর ডিরেক্টর বলেন, এর ফলে গরিব, পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পড়ুয়াদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। তাই দ্রুত স্কুল খোলা উচিত।
এরই পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘স্কুল হচ্ছে এমন একটি জায়গা যেখানে শিশুদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। স্কুলের পরিবেশ শিশুদের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। আর স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের চরম ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে সেইসব পড়ুয়াদের যাদের অনলাইনে পড়াশোনা করার সুযোগ নেই।’ তিনি এও বলেন, ‘স্কুলগুলির খোলার কৌশল নির্ধারণ করার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসা উচিত। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় পরবর্তী প্রজন্মের চরম ক্ষতি হচ্ছে।’
একদিকে উনি নিজেই বলছেন তৃতীয় wave আসছে, যাতে কোভিড শিশুদেরও আক্রমণ করবে, আবার অন্যদিকে স্কুল খুলতে বলছেন। উনি কি পাগল হয়ে গেলেন?? কোন নিয়মে স্কুল খুলবে?? প্রতিদিন প্রত্যেক ক্লাসে 5 জন ছাত্র আসবে??