নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, কলকাতা: মিম কি সত্যিই বিজেপির বি টিম? বাংলায় ওয়েসীর আগমন নিয়ে কি বলছেন মুসলিম নেতারা। অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের সর্ব ভারতীয় সভাপতি ব্যারিস্টার সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েসীর বাংলায় আগমন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া মিলেছে সংখ্যালঘু মুসলিম নেতাদের থেকে। কেউ বলছেন এতে বিজেপির সুবিধা হবে, আবার কেউ বলছেন, মুসলিম বঞ্চনার জবাব দিতে মীম প্রয়োজন। আবার কেউ কেউ বলছেন, মুসলিম উন্নয়নের জন্য নিজেদের দল প্রয়োজন কিন্তু বিজেপি যেন লাভ করতে না পারে সেটা দেখতে হবে।
বেশ কিছুদিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, বাংলায় আইডেন্টিটি রাজনীতি নেই বলেই সারা দেশের মধ্যে চাকরিতে মুসলিমরা সবচেয়ে পিছিয়ে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আফসার আলি জানান, পশ্চিববঙ্গে মুসলিমদের রাজনৈতিক ভিত্তির জন্য ভালো ও সম্ভাবনাময় দিক খুলে গেল। তথাকথিত টিএমসি, কংগ্রেস, বামরা যদি পশ্চিমবঙ্গে মিম ও আব্বাস কে নিয়ে জোট করে নির্বাচন লড়ে তাহলে সকলের লাভ। জোট না করলে মুসলিমদের লাভ তবে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আবার ডাঃ আবু সাইদ বলেন, “মিম এলে তথাকথিত সেকুলার দলগুলোর কেবল বিজেপি জুজু দেখিয়ে ভোট আদায় করা বন্ধ হবে। ভোটের সময় লেঠেল হিসেবে মুসলিমদের ব্যবহার করা বন্ধ হবে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে নরম হিন্দুত্বের সূক্ষ্ম প্রচার বন্ধ হবে। মিমের বিধায়কদের কংগ্রেস বা অন্যদলের মতো বিজেপিতে যাওয়ার নজির নেই।”
তবে ভাষা ও চেতনা সমিতির অধ্যাপক ইমানুল হকের মন্তব্য, “বিজেপি যেমন হিন্দুদের ভালো করার নামে সর্বনাশ করছে, তেমন মিম মুসলিমদের ভালো করার নামে ক্ষতি করছে।”
কিন্তু কংগ্রেসের চেয়ে ভালো ফল করায় মিমকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।
এদিকে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলছেন, ভয়ঙ্কর রকম বঞ্চনা ও দাস ভাবার ফলে দলিত ও সংখ্যালঘু সমাজ নিজেদের অধিকার নিয়ে ভাবছে। মিম আইডেন্টিটি পলিটিক্স করছে। উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করবে।
সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, “বিহারে মিমের সাফল্য আগামী দিনে ভারতের প্রতিটি নির্বাচনে নির্দিষ্ট সমীকরণ নির্ণয় করবে। কংগ্রেসের নরম হিন্দুত্ব না হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য না মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে। বিহার নির্বাচনে কংগ্রেস কোনো উল্লেখযোগ্য ছাপ রাখতে সক্ষম হয়নি।”
কিন্তু বাংলায় মিমের ভবিষ্যত কী? দলটি কি সফল হবে নাকি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর পিডিসিআই-এর মতো হারিয়ে যাবে? এই প্রশ্নের জবাব ভবিষ্যতেই মিলবে।