Friday, November 22, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

বিগ ব্রেকিং: মুক্তি পেলেন ডাঃ কাফিল খান, দ্রুত জেল থেকে ছাড়ার নির্দেশ আদালতের

ছবি : সংগৃহিত

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ডাঃ কাফিল খানকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে। মত ইলাহাবাদ হাইকোর্টের। সোমবার আদালতের নির্দেশ, কাফিল খানকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা এনএসএ)-র ধারা প্রত্যাহারেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে কাফিল খানের ভাষণে ঘৃণা ও হিংসায় মদত দেওয়ার কোনও চেষ্টা ছিল না। মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সিএএ বিরোধী মন্তব্য করায় জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল কাফিল খানের উপর। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে গত ২৯ জানুয়ারি মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কাফিল খানকে।

এ দিন প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর ও বিচারপতি সৌমিত্রা দয়াল সিংকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘বক্তা স্পষ্ট সরকারি নীতির বিরোধী এবং সেই মত ব্যাখ্যা করার জন্য তিনি কিছু উদাহরণ উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার মতো এক্ষেত্রে এমন কোনও জোরালো প্রমাণ ছিল না। ভাষণের কোনও অংশেই ঘৃণা ও হিংসা ছড়াতে কোনও উসকানিমূলক কথা ব্যবহার করা হয়নি। আলিগড় শহরের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করারও কোনও ইন্ধন জোগানো হয়নি। বরং ভাষণে জাতীয় সংহতি ও ঐক্যের কথাই বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে শান্তির বার্তাও রয়েছে ওই ভাষণে। মনে করা হচ্ছে, জেলাশাসক গোটা ভাষণটি পড়েননি এবং তার সঠিক নির্যাস বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

ইতিমধ্যেই কাফিলের মুক্তির দাবিতে আওয়াজ উঠেছিল। অনেকের বক্তব্য ছিল , বিরোধী স্বর দমিয়ে রাখতেই উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার এই আইন প্রয়োগ করেছে কাফিলের উপর। যদিও এদিন আদালত জানিয়ে দিয়েছে , প্রাথমিক ভাবে কাফিল খানের বক্তৃতা শুনে কখনই মনে হয়নি তাঁর বক্তৃতায় ঘৃণা বা হিংসাত্মক কিছু রয়েছে।

 

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!