Sunday, December 22, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

অপরাধ প্রমাণিত হলেই চাকরি যায় সরকারি কর্মীর, কেন ভোটে লড়বেন দাগি নেতারা? প্রশ্ন সুপ্রিমকোর্টের কমিটির

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২ বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা পাওয়া সাংসদ-বিধায়কদের মুক্তির পরে ভোটে লড়ার উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বৃদ্ধির প্রয়োজন। শীর্ষ আদালতকে দেওয়া নিজের রিপোর্টে এ কথা বলেছেন সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত আদালত বান্ধব বিজয় হংসরিয়া।

১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনও সাংসদ-বিধায়ক মুক্তির পর ৬ বছর পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। অন্যদিকে, ১৯৫১ সালেরই ‘সর্বভারতীয় সরকারি কর্মচারি আইন’ জানাচ্ছে, দোষী সাব্যস্ত বলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীও স্থায়ী ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন। হংসরিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই শ্রেণির অপরাধীদের ক্ষেত্রে দু’রকমের নিয়ম সাম্যের অধিকারের পরিপন্থী।

বিজয় হংসরিয়ার রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘‘এক জন সরকারি কর্মী ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে গেলে স্থায়ী ভাবে চাকরি থেকে বিতাড়িত হন। এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে সাজার মেয়াদ শেষের ৬ বছরের মধ্যেই আবার ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।’’ আদালত বান্ধবের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এ বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির পাশাপাশি, প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলির মত জানতে চাওয়া হতে পারে বলে বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!