Friday, November 22, 2024
Latest Newsফিচার নিউজরাজ্য

জল্পনার অবসান, দলীয় পদ ছাড়তে চেয়ে দিল্লিতে চিঠি মুকুলের

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি পাখির চোখ করেছিল বাংলার নির্বাচনকে। মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দেওয়া হয়েছিল। ২০০-র বেশি আসনে জয়ের দাবি করা বিজেপি অর্ধেকের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারেনি। তবে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের আচরণে ক্ষুব্ধ তিনি। এছাড়াও, নিজে লড়াই করতে না চাইলেও, তাঁকে লড়াইয়ে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে তিনি দলের সংগঠনের কাজ দেখতে পারেননি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষ চান, সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত কোনও বিধায়ক ওই পদে বসুন। বিষয়টি নিয়ে দলে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনেকেই বলছেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মুকুল রায়ের সম্পর্ক কোনও কালেই ভাল ছিল না। এরপর যুক্ত হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকুল রায় দলীয় পদ ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সর্বভারতীয় সব-সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়ে মুকুল রায় দিল্লিতে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছেন। এব্যাপারে চিঠি না পাঠালেও, দিল্লিতে সর্বভারতীয় এক নেতার সঙ্গে মৌখিকভাবে তাঁর কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এদিকে মুকুল রায়ের দলত্যাগ জল্পনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি রাজ্য বিজেপির কোনও নেতাই। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুকুল রায়ের বিভিন্ন কাজের ওপরে কড়া নজরদারি করা হচ্ছে।

বিধানসভায় তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে সাক্ষাৎ। তারপরেই বেরনোর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় বলেছিলেন, তিনি এখন কিছু বলবেন না। যা বলার সবাইকে ডেকে বলবেন। এরপরেই মুকুল রায়ের অবস্থান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুকুল রায় বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।

ভোট প্রচারে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বেচারা মুকুল। পাঠিয়েদিয়েছে কৃষ্ণনগরে। পরবর্তী সময়ে দেখা গিয়েছেন, মুকুল রায় নিজে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জিতলেও, নিজের ছেলে বিজপুর থেকে পরাজিত। ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে অনেক নেতাকে মিডিয়ার সামনে পাওয়া গেলেও মুকুল রায়কে পাওয়া যায়নি। মুকুল রায়ের নীরবতা নিয়ে জল্পনা তখন থেকেই।

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!