Thursday, November 21, 2024
Latest Newsফিচার নিউজরাজ্য

মুকুল তৃণমূলে ফিরতেই বেসুরো একের পর এক বিজেপি বিধায়ক

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘন্টা হয়েছে তৃণমূলে পা রেখেছেন। আর সেখানে পা রাখতেই খেলা ঘোরাতে শুরু করে দিলেন মুকুল রায়। দল ভাঙানোর খেলা শুরু চাণক্যের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতেই ১০ বিধায়ককে মুকুল রায় ফোন করেছেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। শূধু তাই নয়, দুই সাংসদকেও তৃণমূলে ফেরার জন্যে জানিয়েছেন বলে খবর। যার মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গের সাংসদ রয়েছেন বলে খবর।

মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পরেই ‘বেসুরো’ হতে শুরু করেছেন, নিজের জেলায় বিজেপিতে থাকা তাঁর অনুগামীরা। সরাসরিই মুকুল রায়ের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে বিজেপির তরফেও শৃঙ্খলা ভঙ্গে অভিযোগ আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ফলে ফলাফল ভবিষ্যতের ওপরেই ছেড়েছেন ওইসব নেতানেত্রীরা।

ইতিমধ্যে দল না ছাড়লেও বনগাঁর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ তপন সিনহা। এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি বিজেপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, মুকুল রায় তাঁর রাজনৈতিক গুরু। মুকুল রায়ের সঙ্গেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দলে থেকে কাজ করতে না পারার কথাও তিনি জানিয়েছেন ভিডিও বার্তায়। তাঁর দল ছাড়ার ব্যাপের জল্পনা তৈরি হলেও, এখনই ভবিষ্যত নিয়ে কিছুই বলেননি তপন সিনহা।

আগে ছিলেন বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে বিশ্বজিৎ দাসও গেরুয়া শিবিরের পথ ধরেছিলেন। তবে মাঝে মধ্যে কথনও বিধানসভায় কখনও অন্য কোনও জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। আর মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়া পরে তিনি বলছেন, মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক আর মমতা-অভিষেকের সঙ্গেও তাঁর ভাল সম্পর্কে। তবে রাজনৈতিকভবিষ্যৎ সম্পর্কে তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলেই জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস।

 

উত্তর ২৪ পরগনার রাজনীতিতে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ পরেই পরিচিত হলেও, অর্জুন সিং-এর আত্মীয়ও তিনি। একটা সময়ে গারুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ছাড়াও নোয়াপাড়ার বিধায়কও ছিলেন। কিন্তু এবারের ভোটে জিততে পারেননি। মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার পরেই তিনি মুকুল রায়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, মুকুল রায়ের হাত ধরেই ২০০৯ সালে তৃণমূলে যেগ দিয়েছিলেন। তবে ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে তিনি তা স্পষ্ট না করলেও, মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগে দলের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

শুক্রবার দিলীপ ঘোষ বনগাঁয় সাংগঠনিক বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত না থাকা বাগদার বিধায়ক তো মুকুল রায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আগেই অনুগত্য প্রকাশ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণে দিলীপ ঘোষের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বৈঠকে ছিলেন না বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন না তাঁর ভাই গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনিয়াও। শেষ তিনজনের অবস্থান সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

 

 

Leave a Reply

error: Content is protected !!