দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিধানসভার শেষ অধিবেশনে বড় কর্মসংস্থানের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা প্রকল্পে রাজ্যে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার কর্মসংস্থান হতে চলেছে।
এদিন বিধানসভায় ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রায় ৭২ হাজার ২০০ কোটি টাকার সম্ভাব্য বিনিয়োগের বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করছেন। তিনি বলেছেন, মোট ১৯ টি প্রকল্পের রাজ্য জুড়ে এই বিনিয়োগ হতে চলেছে। কলকাতার সংলগ্ন দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়া ছাড়াও, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি এবং বালুরঘাটে এই বিনিয়োগ হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, রাজ্য জুড়ে যে কর্মসংস্থান হতে চলেছে, তার বেশিরভাগটাই দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায়। লেদার কমপ্লেক্সে ১৮০টির বেশি নতুন ট্যানারিতে কাজ পাবেন অনেকে। উত্তর ২৪ পররনার বানিপুর এবং অশোকনগরে সম্ভাব্য পাওয়ালুম ক্লাস্টারে কমপক্ষে ১৫ হাজার নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে যে তাঁতের হাট তৈরি হবে, সেখানে প্রায় ১০ হাজার তাঁতি উপকৃত হবেন। পূর্ব বর্ধমানে বাতাসা ও কদমা তৈরির জন্য কমন প্রোডাকশন সেন্টার তৈরি হলে অনেকেই উপকৃত হবেন। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিল তৈরি হলে বড় কর্মসংস্থান হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় ফার্মাসিউটিক্যাল পার্ক এবং বজবজে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, বাকুড়ার বড়জোড়ায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, পশ্চিম মেদিনীপুরে চয় পার্ক, হাওড়ায় হোসিয়ারি পার্ক, হাওড়ার উনসানিতে টেক্সটাইল পার্ক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি হলে সেখানেও অনেকের কর্মসংস্থান হবে।
কোচবিহারে ভাওয়াইয়া শিল্পীদের কমন ফেসিলিটি সেন্টার তৈরি হলে প্রায় ১৫০০ শিল্পী উপকৃত হবেন। কোচবিহারেই মেখলা ড্রেস তৈরির জন্য কমন প্রোডাকশান সেন্টার তৈরি হলে অনেকেই উপকৃত হবেন। মালদহে সিল্ক পার্ক, শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে মেগা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড লজিস্টিক পার্ক, বালুরঘাটে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়িতে শিল্পাঙ্গন পার্ক তৈরি হলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
মুখ্যমন্ত্রী গত অগাস্টেই দাবি করেছিলেন, শুধুমাত্র ক্ষুদ্র উদ্যোগেই বাংলায় ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। রাজ্য সরকার ৬৫ টি শিল্প পার্কে ৫২০ টি ক্লাস্টার তৈরি করেছে। দেউচা-পাঁচামি কোল ব্লক রেডি হয়ে গেলেই পাঁচ-ছটি জেলা উপকৃত হবে।