দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : বসিরহাট পুরসভায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মুনসেপ পাড়া শিক্ষিকা জেসমিনা মল্লিক ও স্বামী সুবীর মল্লিক জুনের ৭ তারিখে তাদের প্রতি বছর বিবাহ বার্ষিকী পালন করেন। ধুমধামে সাড়ম্বরে ভূরিভোজ আনন্দের মধ্য দিয়ে এই দিনটা উপভোগ করেন। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে যান। চলতি বছর সেটা বন্ধ করে সেই অর্থে সুন্দরবন বিধ্বস্ত এলাকা সন্দেশখালি, শিতুলিয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, ঘুনি, মিনাখাঁ মল্লিক ঘেরি বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
নিজেরাই চাল ডাল আলু জলের বোতল স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি যেসব স্কুলপড়ুয়ার বই নদীর জলে ভেসে গেছে তাদেরকে বিভিন্ন শ্রেণীর খাতা, পেন, বই পড়াশোনার জন্য বিলি করছেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন শুভেন্দু, নিতাই, ইন্দ্রদীপ, দিলীপ, পিন্টুরা। এরাও এগিয়েছে দুর্গতদের পাশে যতদিন পর্যন্ত তাদের সাধ্য থাকবে ততদিন পর্যন্ত দাঁড়াবে যথাসাধ্য চেষ্টা করে।
বাংলার বড় বিপর্যয়ের মধ্যে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এই বিপর্যয়ের মধ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে গোপালপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও স্বামী শিক্ষক দম্পতি এগিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি যেভাবে বহু মানুষ এখনও ত্রাণশিবির কেউ বাঁধের উপর রয়েছে কেউবা আবার সরকারি স্কুল বাড়িতে। খাদ্য বাসস্থান পানীয়জল সংকট তো আছে। তাই একদিকে মুখ্যমন্ত্রী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যদিকে নিজেদের সঞ্জিত অর্থ বিবাহ বার্ষিকী পালনের খরচ দিয়ে লাগাতার সুন্দরবনের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
যতদিন পর্যন্ত এইসব এলাকার মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাদের সাধ্যমত তারা এই করে যাবেন। কখনও পায়ে হেঁটে কখনও মোটরসাইকেল আবার কখনও চারচাকা ভাড়া করে ত্রাণ নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে সুন্দরবনের উদ্দেশ্য। দিনও রাত এক করে চলেছে শিক্ষক দম্পতি। তারা জানিয়েছেন সবাইকে এগিয়ে আসছে সবাই মিলিতভাবে। আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে আমাদের দিকে কেউ অনুপ্রাণিত হলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেই হবে।
আরও খবরাখবর পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে