দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : সোমবার ঝাড়গ্রামে অমিত শাহর সভা বাতিল হয়েছে। যদিও অমিত শাহর সেই সভায় তেমন লোক হয়নি। পরে দুপুরে এগরায় বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি নিতিন গডকড়ির সভা ছিল, লোক হয়নি সেখানেও। মাঠ খাঁ খাঁ করেছে। পুরুলিয়ার বলরামপুরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভায় মাঠ ছিল অর্ধকের বেশি খালি। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সভাতেও উল্লেখযোগ্য ভিড় নজরে পড়ল না।
সূত্রের মতে, এ ব্যাপারে অমিত শাহ নেতাদের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের মতে বাইরের নেতাদের উপর অতিশয় নির্ভরতার কারণেই এই অবস্থা হচ্ছে। বাঁকুড়া, বিষ্ণপুর, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরে হিন্দি ভাষাভাষীদের দিয়ে সভা করে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এই অঞ্চলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা, শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের দিয়ে সভা করালে তুলনায় বরং ভাল সাড়া পাওয়া যেতে পারে।
এ ব্যাপারে ক্রমশই দ্বন্দ্ব তীব্র হচ্ছে বিজেপিতে। রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, দলের সভাপতি দিলীপ ঘোষের পক্ষে গাড়িতে গাড়িতে ঘুরে আজ বাঁকুড়া কাল মেদিনীপুরে সভা করা সব সময়ে সম্ভব হচ্ছে না। দিল্লির নেতাদের জন্য হেলিকপ্টারের বন্দোবস্ত হয়েছে, কিন্তু দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু, মুকুলবাবুদের জন্য তেমন কোনও বন্দোবস্ত নেই। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই হেলিকপ্টারে করে প্রচার করছেন। আর সেই কারণে এক দিনে দু’টি-তিনটি করে বড় সভা করতে পারছেন তাঁরা।