দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। যেটাকে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এই লড়াইতে তিন জোট বাঁধবেন না, বরং একাই লড়বেন। রবিবার সকালে ট্যুইট করে জানালেন বহুজন সমাজপার্টির নেত্রী মায়াবতী। রবিবার সকালে ট্যুইটে মায়াবতী লেখেন , পঞ্জাব ছাড়া উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরখণ্ডে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল কারও সঙ্গে জোট বাঁধছে না। বরিং নির্বাচনী ময়দানে একাই লড়বে। পাশাপাশি আসাদুদ্দিন ওয়েসীর পার্টি মিম এর সঙ্গেও বিএসপি জোট বাঁধছে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বহেনজি। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সুবিধা করে দিতে একাই লড়াইয়ের ঘোষণা মায়াবতীর? তাহলে বিজেপির বি-টিম বিএসপি?
এর আগে ২০১৭ সালে যা হয়েছিল আসন্ন উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে আর তা দেখা যাবে না। । ২০১৯ সালের ‘পিসি–ভাইপো’ জুটিকেও আর দেখা যাবে না। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দলের নীতি ‘একলা চলো’। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও আগেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমকে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘বড় দলগুলোর সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা ভালো নয়। আমি ওঁদের সঙ্গে জোটে যাব না।’ বরং তিনি আবেদন করেন, ‘যাঁরা বিজেপি–কে হারাতে চায়, সপা–কে সমর্থন করুক।’ এর মাঝেই জল্পনা শোনা যাচ্ছে, মায়াবতীর বসপা দলের বেশ কয়েক জন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি কংগ্রেসকে নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুলায়ম পুত্র। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়, বলছেন অভিলেশ। তাঁর কথায়, ‘২০১৭ সালে তাদের সঙ্গে জোটের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। ওদের ১০০টি আসন ছেড়েছিলাম। জিততে পারিনি আমরা। উত্তরপ্রদেশের মানুষ কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তবে ২০১৭ সালের তুলনায় এবারের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের পরিস্থিতি আলাদা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উত্তরপ্রদেশ ভোটে কংগ্রেসের হাল ধরেছেন। এদিকে ২০১৭ সালে ভোট ভাগাভাগি বিজেপিকে জয় এনে দিয়েছিল। এবারও বিরোধী দলগুলির জোট না হওয়ায় আখেরে লাভ যে গেরুয়া শিবিরের তা বলাই বাহুল্য। যদিও এবারের নির্বাচন বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বড় চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও। কারণ তাঁর সরকারের করোনা মোকাবিলা থেকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে দেলর অন্দরের বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফলাফলের পর এবার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতেও ঝাঁপাতে চাইছেন অখিলেশ।