দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :
পিএম কেয়ার্স ফাণ্ডে কত টাকা কোথা থেকে জমা পড়ছে এবং কোন খাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে, তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হোক। এই দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে ডঃ এস এস হুডা নামে এক ব্যক্তি মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর দফতর এই ফাণ্ডকে ‛পাবলিক অথরিটি নয়’ বলায় ফাণ্ড নিয়ে কোটি কোটি ভারতবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে। ডঃ হুডা পিটিশনে পিইউসিএল বনাম ভারত সরকার মামলার রায় উল্লেখ করে বলেছেন, সরকারি মালিকানার বা সরকার নিয়ন্ত্রিত কিংবা সরকারি তহবিল থেকে ভাল পরিমাণে আর্থিক মদত প্রাপ্ত ফাণ্ডকে তথ্যের অধিকার আইনে ‛পাবলিক অথরিটি’ গণ্য করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, পিএম কেয়ার্স ফাণ্ড কেবল সরকারের অর্থসাহায্যেই পাচ্ছে না, সরকার এটি নিয়ন্ত্রণ করছে।
প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁর এক্সঅফিসিও চেয়ারম্যান। অর্থ, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার সদস্য। ফাণ্ডে যে কোনও নিয়োগের অধিকারীও এই চারজনই। তাছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও বিভিন্ন সরকারি কর্পোরেশনের কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কেটে এতে জমা করেছে সরকার। এমনকি সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগের বেতনভোগীদের বেতন থেকেও কাটা হয়েছে।
আগামী ২০ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানীর দিন নির্ধারিত হয়েছে। ইতিমধ্যে বোম্বে হাইকোর্টও অনুরূপ একটি মামলায় সরকারকে জমা টাকার বিস্তারিত বিবরণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের সেই নির্দেশ না মেনে নির্দেশটি বাতিলের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আবেদন জানিয়েছিল, বোম্বে হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
এক আইনজীবী এই মামলা দায়ের করে বলেছেন, ফাণ্ডের নিয়ম অনুযায়ী ট্রাস্টি নিয়োগ বাধ্যতামূলক। অথচ, মার্চ মাসে গঠিত ফাণ্ডে এখনও কাউকে ট্রাস্টি নিয়োগ করা হয়নি। পিএম কেয়ার্স ফাণ্ড এর অস্বচ্ছতা দূর করতে অন্তত বিরোধী দলের দুজনকে কমিটিতে নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের হয়ে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলে অনিল সিং বলেছিলেন, সুপ্রিমকোর্ট পিএম কেয়ার্স নিয়ে অনুরূপ আবেদন বাতিল করেছে। এটিও বাতিল করা হোক। আদালত সেই মুক্তি খারিজ করেছে।
আরও খবরাখবর পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপে