দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আগমনের প্রথম থেকেই বিজেপি নেতাদের মুখে গোবর-গোমুত্র খাওয়ার কথা একাধিকবার শোনা গেছে। যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ঘোর কুসংস্কারের দিকে সমাজকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। করোনা তাড়াতে গোবর-গোমুত্র খাওয়ার পর এবার যোগীরাজ্যে তৈরি হল ‘করোনা মাতা’র মন্দির। দেওয়া হবে পুজোও। জানাগেছে, গ্রামের নাম শুক্লাপুর। উত্তরপ্রদেশের পর্তপগর জেলার এই গ্রামে তৈরি হয়েছে ‘করোনা মাতা’র মন্দির। কেমন সেই বিগ্রহ? দেখা যাচ্ছে, সেই শ্বেতবর্ণ দেবীর চার হাত। মুখ ঢাকা মাস্কে। নিমগাছের তলায় অধিষ্ঠিত দেবী। এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার নিয়ম হল কোভিড বিধি মেনে চলা। অর্থাৎ হাত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ধুয়ে, সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক পরে তবেই পুজো দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে আরেকটা নিয়ম হল। ফল, ফুল, মিষ্টি বা যা কিছুই দেবীর পায়ে নিবেদন করুন না, তা হতে হবে হলুদ রঙের।
কিন্তু হঠাৎ কী করে তৈরি হল এই মন্দির? এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘এই দেবীর আরাধনা করার সিদ্ধান্ত গ্রামের সবাই মিলেই নেওয়া হয়েছে। করোনা বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আর যাতে সে আঘাত না হানতে পারে তাই এই মন্দির।’’ গত মাসেই জানা গিয়েছিল তামিলনাড়ুর করোনা দেবীর মন্দিরের কথা। কোয়েম্বটুর থেকে অদূরে কামাতচিপুরম গ্রামে তৈরি হয়েছে মন্দিরটি। মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রী করোনা দেবীর মূর্তিটি গ্র্যানাইট পাথরের তৈরি। দেড় ফুটের প্রতিমার পরনে টকটকে লাল রঙের শাড়ি। একহাতে ধরা ত্রিশূল। এবার আরেক ভিন্ন মূর্তির সন্ধান মিলল উত্তরপ্রদেশে।
তবে এমন মন্দির নতুন নয়। ইতিহাসে এমন নজির রয়েছে। প্রায় একশো বছর আগে যখন প্লেগ মহামারীর কবলে পড়ে শুরু হয়েছিল মৃত্যুমিছিল, তখন কোয়েম্বটুরে তৈরি হয়েছিল প্লেগ মারিয়াম্মান মন্দির। সেখানে পুজো হত মারিয়াম্মান দেবীর। আজও সেখানে পুজো হয়।