দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় সাত মাস পর শুক্রবার জিএসটি কাউন্সিলের ৪৩ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হল করোনাকালের সমস্যা নিরসনে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে জানান হয় যে কোভিড ভ্যাকসিনের উপরে জিএসটি কোনওভাবেই কমানো হবে না। তবে মিউকরমাইকোসিস রোগের ওষুধে জিএসটি ছাড় দেওয়া হবে।
কোভিডের ওষুধ, পিপিই কিট থেকে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি আদায় করতে চায় কেন্দ্র। ভেন্টিলেটর থেকে ১২ শতাংশ। এন-৯৫ বা তিন স্তরের মাস্কের উপর থেকে ৫ শতাংশ জিএসটিও কমানো হবে না। তবে কোভিড সংক্রান্ত কোনও সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এরপর বৈঠকেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা বিরোধিতা শুরু করেন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, “অনেকেই তাড়াহুড়ো করে বলছেন যে কর ছাড়ে সাধারণ মানুষের উপকার হবে। কিন্তু টেকনিক্যালি কিংবা আইনগভাবে যদি দেখা যায় তাহলে দেখা যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত বোঝা চাপবে সাধারণ মানুষের উপরই। আমি রাজস্ব আয়ের দিকটি নিয়ে কথা বলছি না। কোন কোন পণ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে তা বিচার করে দেখতে হবে।”
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, “এই বৈঠকে ভিন্ন ভিন্ন মত উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে কমিটি গঠন করা হোক। আরেকটি দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের কথা বিচার করেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা হবে।”
এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী শাসিত রাজ্যের নয় জন অর্থমন্ত্রী দাবি করেন যে ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে কোভিডের মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় এই প্রতিটি ক্ষেত্রে জিএসটি-র হার শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। তবে সায় দেননি নির্মলা সীতারমণ। এর ফলে আগামী দিনে করের বোঝা বাড়বে বলেই তাঁর মত। তবে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের বিরোধিতার পর তাঁদের নিয়েই কমিটি তৈরির প্রস্তাব দেন তিনি। ৮ জুনের মধ্যে ওই কমিটির রিপোর্টের পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।