দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে করোনা টিকাকরণ। কিন্তু তার আগে প্রতিষেধকের মেয়াদ ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক ও সংশয়। কোভিড টিকাকরণের প্রশিক্ষণ-পর্বে সোমবার রাজ্য পরিবারকল্যাণ ব্যুরো বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের কর্তাদের জানিয়েছে, প্রতিষেধকের ভায়ালে সম্ভবত থাকছে না এক্সপায়ারি ডেট। শুধু তাই নয়, টিকাটি ঠিক আছে কি না বোঝার জন্য ভায়ালের গায়ে যে ভিভিএম (ভ্যাকসিন ভায়াল মনিটর) থাকাটা দস্তুর, তা-ও না থাকতে পারে। যদি কোনও ভাবে কোনও টিকা-প্রাপকের অ্যালার্জি ধরনের কোনও সমস্যা না-হয়, তার জন্য ‘অ্যানাফাইলেক্টিক কিট’ নিশ্চিত করতেও বদ্ধপরিকর স্বাস্থ্য প্রশাসন। পাওয়ার-পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের সময়ে ব্যুরোর তরফে মেডিক্যাল কলেজগুলির কর্তাদের বলা হয়, ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষিত হচ্ছে ভ্যাকসিনগুলো, এটুকু নিশ্চয়তা থাকলেই যথেষ্ট। টিকা দেওয়ার সময়ে প্রতিটি ভায়াল খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিনেটর অফিসার যেন ভায়ালের গায়ে তারিখ ও সময় লিখে রাখেন। এবং খোলার পর চার ঘণ্টা পর আর যেন সেই ভায়ালের টিকাটি ব্যবহার না করা হয়। মেয়াদ-উত্তীর্ণের সময় ও ভিভিএম না-থাকার ব্যাপারে খুব বেশি আর আলোচনা গড়ায়নি।
তবে এই সামান্য কথাটিতেই ব্যাপক খটকা লাগতে শুরু করেছে চিকিৎসকদের। কেননা, ভিভিএম এমন একটি ‘লেবেল’ যা রং পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্দেশ করে, তাপমাত্রাজনিত কারণে ভ্যাকসিনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে নাকি ঠিক আছে। কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজ স্তরের হাসপাতালের শীর্ষকর্তা বলেন, ‘ওঁরা যখন বলছেন, সমস্যা নেই, হয়তো ঠিকই।
দক্ষিণবঙ্গের এক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের মতে, ‘সবে ফর্মুলেশনটি তৈরি হয়েছে। এখন সেটি ছ’মাস টিকবে না এক বছর নাকি তিন বছর, সেটা ওই সময়কাল না-পেরোলে বলাও মুশকিল। সম্ভবত সেই কারণেই এক্সপায়ারি ডেট থাকছে না।’
চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাসেরও বক্তব্য, ‘টিকার মেয়াদ লেখা নেই, থাকছে না ভ্যাকসিন ভায়াল মনিটরও। তা হলে টিকাটি ব্যবহারযোগ্য কি না, সেটা না-বুঝেই কি মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হবে? এর দায় কার? কেনই বা তাড়াহুড়ো?’ উত্তর কিন্তু অধরাই।