নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, নদীয়া : লাগাতার ডিজেল, পেট্রোল সহ রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে সামিল হল যুবকরা। নদিয়ার করিমপুর রেগুলেটেড মার্কেট গেটের সামনে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ কর্মসূচী পালন করে ডিওয়াইএফআই এর কর্মীরা। শুক্রবার প্রায় ২০মিনিট ওই প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচীতে সামিল হন একশোর ও বেশি যুবক যুবতী। পুলিশের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত অবরোধ তুলে নেন তারা।
অবিলম্বে পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ না হলে এই আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। অবরোধ কর্মসূচীর সাথে সাথে বিক্ষোভ সভাও হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র নেতা উতস চন্দ্র, যুবনেতা সঞ্জীব সেখ, প্রাক্তন যুবনেতা সন্দীপক ব্যানার্জী।
এদিনের সভায় ওই বাম যুব সংগঠনের নদীয়া জেলা সভাপতি নাদির হোসেন মণ্ডল বলেন, ‛সারা বিশ্বজুড়ে করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন পেট্রোপন্যের দাম শূন্য ডলারে নেমে গেছে তখন আমাদের দেশে লাগাতার ১৮ দিন ধরে দাম বাড়িয়ে চলেছে কেন্দ্রের সরকার। একদিকে লকডাউনে কাজ হারানো মানুষ ও আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপর এই ডিজেলের দামবৃদ্ধি মড়ার উপর খাড়ার ঘায়ের সামিল হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‛মোদী সরকারের আমলে সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে ভারতের। সীমান্তে সবথেকে বেশি সেনা জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন এই সময়ে। অন্যদিকে ভারত -চীন সীমান্ত সংঘর্ষের আড়ালে দেশের মানুষের সামনে যুদ্ধ যুদ্ধ আবহের আড়ালে ৪১ টা কয়লা খনি সহ দেশের প্রায় সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র, ব্যাঙ্ক, বীমা পরিষেবা বিক্রি করে দিয়ে অাত্মনির্ভর ভারতের গল্প শোনাচ্ছে। ঠিক যেনো কাঠালের আমসত্ত্ব।’
এছাড়াও এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচীতে আমফানে দূর্ণীতি রোধ করে, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ, কাজ হারানো শ্রমিকের কাজের ব্যবস্থা ও লকডাউন সময়ে তিন মাসের বিদ্যুত বিল মুকুবের দাবীও জানানো হয়।