দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও ঘোষণা হয়নি ভোটের দিন, তার আগেই বাংলায় আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল টিম। বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারের ব্যস্ত উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বুধবার বিভিন্ন জেলা জেলাশাসক ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এদিন তিনি বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে আসতে পারে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও এসপিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। দুটি পর্বে এই বৈঠক হয়। একটি পর্বে হয় উত্তরবঙ্গকে নিয়ে বৈঠক, অপর পর্বে হয় দক্ষিণবঙ্গকে নিয়ে বৈঠক। বুধবারের বৈঠকে মূলত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ওপরেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবারের বৈঠকে কলকাতা পুলিশের এলাকায় মূলত রাজনৈতিক অশান্তি নিয়েই ক্ষোভপ্রকাশ করেন উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। কলকাতা পুলিশের এলাকায় কেন রাজনৈতিক অশান্তি কমানো যাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। গ্রেফতারির সংখ্যা কম হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় হওয়া রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে তথ্য চেয়েও পাওয়া না যাওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানা গিয়েছে। ২০২১-এর সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়ে অনেক অভিযোগ তাঁর কাছে জমা পড়েছে। সেই বিষয়টিও তিনি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। মূলত, করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে প্রয়োজনে বুথ বা ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তা নিয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন তিনি।
গতমাসেও ২০২১-এর ভোটের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে রাজ্যে এসেছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। সেই সময় তিনি মুখ্যসচিব ছাড়াও ১৫ জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ আধিকারিক, পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তাদের দেওয়া রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন। বৈঠক করেছিলেন সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও। বামেদের তরফে নটি কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ করে তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল তাঁর হাতে। এর মধ্যে চারটিই ছিল ডায়মন্ড হারবার সংসদীয় কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত বিধানসভা কেন্দ্র।
এখন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। এছাড়াও বাকি দুই নির্বাচন কমিশনার হলেন, রাজীব কুমার এবং সুশীল চন্দ্র। উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ পরিস্থিতি যাচাইয়ে রাজ্যে আসতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। ১৮ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে তাঁরা আসতে পারেন। তবে এখনও সূচি চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষবার রাজ্য সফরে এসেছিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।