দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে হাতিয়ার করে ফের গোটা দেশে এনআরসি করার দাবি তুলল বিজেপি। দলের বক্তব্য, সঙ্কটের দিনে দেশের দরিদ্র মানুষ ত্রাণের আওতার বাইরে থাকছে। সম্পূর্ণ নাগরিক তালিকা থাকলে এই সমস্যা হত না। সবাই ত্রাণ পেত। করোনা সংক্রমণের আবহে যখন গোটা দেশে লকডাউন, প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ যখন নিত্যদিনের খাবার জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছেন, তখন এনআরসি-র মতো তথ্যভাণ্ডার থাকলে মানুষের সুবিধা হত বলে দাবি বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের। তাঁর বক্তব্য, সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও বহু মানুষ সরকারি ত্রাণের পরিধির বাইরে রয়ে গিয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রের পক্ষে রাজ্যগুলিকে নিজামুদ্দিনে তাবলীগ জামাতের সমাবেশে উপস্থিত ব্যক্তিদের খুঁজে বার করার নির্দেশ দেওয়া হলেও, স্বরাষ্ট্র সূত্রের মতে, প্রায় দেড়শো জনের খোঁজ নেই। সেই প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির দাবি, এনআরসি-র মতো তথ্যভাণ্ডার হাতে থাকলে তাদের খুঁজে বার করাটা সমস্যা হতো না। অমিত মালব্যের কথায়, নাগরিকদের একটি সার্বিক তথ্যভাণ্ডার থাকলেই আর কাউকে খুঁজে বার করতে সমস্যা হতো না। যাতে তা না-করা যায় সে জন্যই কয়েক মাস ধরে এত আন্দোলন।
দিল্লিতে শাহিনবাগ-জামিয়ার বিক্ষোভ, উত্তর-পূর্ব দিল্লির সংঘর্ষ ও শেষে নিজামুদ্দিনের ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র জুড়ে বিজেপির দাবি, মুসলিম মৌলবাদের আখড়া হয়ে উঠেছে দেশের রাজধানী। এর জন্য দায়ী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর তোষণনীতির কারণেই মৌলবাদীদের এই বাড়বাড়ন্ত। উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র সরকার সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করানোর পর প্রতিবাদে পথে নামে মুসলিমরা। তাঁদের অভিযোগ, মুসলিম সমাজকে নিশানা করতেই ওই আইন আনা হচ্ছে।