দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: রাজা রামমোহন এবং অরবিন্দ ঘোষ ছিলেন হিন্দুবিরোধী! ফের বাঙালি মনীষীদের নামে মিথ্যে কুৎসা রটালেন প্রাক্তন সিবিআই এম নাগেশ্বর রাও। যা ঘিরে ঝড় উঠেছে বাঙালি মননে। তোলপাড় বঙ্গ সমাজ। গোটা দেশ যখন রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী পালনে ব্যস্ত, তখনই সতীদাহ প্রথার বিলোপকারীকে হিন্দু-বিরোধী তকমা দিয়ে আক্রমণ করা হল। ছাড় পেলেন না ঋষি অরবিন্দ ঘোষও। বাঙালি-বিদ্বেষী মন্তব্য করে প্রচারের আলোতে আসার চেষ্টা বেশ কিছুদিন ধরেই শুরু হয়েছে। এবার সেই পথে হেঁটেই দুই বাঙালি মনীষী নিয়ে চরম অবমাননাকর মন্তব্য করে বসলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা এম নাগেশ্বর রাও। যা ঘিরে ঝড় উঠেছে বাঙালি মননে। তোলপাড় বঙ্গ সমাজ। বাঙালি মনীষীদের নিয়ে কুৎসার এই ধারাবাহিকতার শেষ কোথায়?
গত শনিবার ছিল ভারতের নবজাগরণের পথিকৃৎ রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী। গোটা দেশ যখন আধুনিকতার প্রাণপুরুষকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যস্ত, তখনই নাগেশ্বর রাওয়ের টুইট, ‘আমাদের পাঠ্য বইয়ে একজন ঐতিহাসিক চরিত্রকে কীভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে, তা নির্ভর করছে তিনি কতটা হিন্দুবিরোধী ছিলেন, তার উপর। অর্থাৎ, তিনি যতটা হিন্দু বিরোধী হবেন, তাঁর সম্পর্কে ততটা বেশি শেখানো হবে। অন্যদিকে, হিন্দুত্ববাদীদের ততটাই দূরে সরিয়ে রাখা হবে। এই নিক্তিতেই রাজা রামমোহন রায় ও ঋষি অরবিন্দ ঘোষকে বিচার করা দরকার।’ আর এই টুইট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যে, বাংলার মনীষীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার এটা কোনও চক্রান্ত কি? জাতীয় স্তরে এর আগেও এই ধরনের নানা ঘটনা ঘটেছে। তাতে নয়া সংযোজন নাগেশ্বরের এই টুইট। যা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সর্বস্তরেই।
তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, বরাবরই হিন্দুত্বকে ঢাল করে শিরোনামে থাকতে চান প্রাক্তন এই আইপিএস। অতীতেও তার একাধিক উদাহরণ আছে। গত বছর ২৫ ডিসেম্বর নাগেশ্বরের একটি টুইট শোরগোল ফেলেছিল। যেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন একজন হিন্দু অধ্যাপক তাঁকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাবেন? উত্তরও তিনিই দেন। বলেন, ‘আমি একজন হিন্দু, আমি মনে করি আপনিও একজন হিন্দু। তা-হলে এই শুভেচ্ছা বার্তার অর্থ কী? আমাদের ভগবত গীতা জয়ন্তী উদযাপন করা উচিত।’ নিজেকে রাষ্ট্রবাদী মনে করা এই প্রাক্তন পুলিশ কর্তার লক্ষ্য হিন্দুদের জন্য সমান অধিকার।