দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত ফাঁস হতেই ফেসবুক থেকে পদত্যাগ করলেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার নীতি নির্ধারণ বিভাগের প্রধান আঁখি দাস। গত সপ্তাহে তথ্যের গোপনীয়তা ইস্যুতে প্রায় দুঘণ্টা ধরে আঁখিকে জেরা করেছিল সংসদীয় প্যানেল। তারপরই তিনি ইস্তফা দেন। বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে জড়িয়েছিলেন তিনি। ফেসবুকে বিজেপির একাধিক উস্কানিমূলক খবরকে ছাড় দেওয়া হত। এমনকী বিজেপির হয়ে ফেসবুকে এক প্রকার প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোেটর সময় থেকেই এই কাজ করেছিলেন তিনি।
৯ বছর ধরে এই পদে ছিলেন তিনি। ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে আঁখি দাসের বিরুদ্ধে। দিল্লি হিংসার ঘটনার পরেই ফাঁস হয়ে যায় এই তথ্য। তারপরেই জোর বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। শেষে পদত্যাগ করলেন আঁখি।
মঙ্গলবার বিবৃতিতে আঁখির পদত্যাগের কথা জানিয়ে ফেসবুক ইন্ডিয়ার এমডি অজিত মোহন বলেছেন, জনকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতেই ইস্তফা দিয়েছেন আঁখি।
গত ৯ বছরে ভারতে ফেসবুকের অগ্রগতির পিছনে আঁখির অবদানের উল্লেখ করেছেন অজিত। জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কীভাবে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ন্ত্রিত হয় তা নিয়ে সম্প্রতি কোম্পানির কর্মীদের এবং ভারত সরকারের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন আঁখি নিজে এবং ফেসবুক ইন্ডিয়া। যা নিয়ে সম্ভবত কিছুটা চাপে ছিলেন তিনি, মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
কিছু দিন আগে ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্য ছড়ানো ইস্যুতে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় প্যানেলের জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন অজিত। আঁখিকে তলব করা হলেও তিনি যাননি। দিল্লি বিধানসভার শান্তি এবং সম্প্রীতি কমিটির জেরাতেও উপস্থিত হয়নি ফেসবুক ইন্ডিয়া।
উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন আঁখি দাস। তিনি বিজেপির একাধিক উস্কানিমূলক খবর ফেসবুকে আটকে দেননি বলে অভিযোগ। এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল দেশে। কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিলেন। এই নিয়ে মার্ক জুকেরবার্গকেও অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেস।