দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর বাইরে চলছে বিক্ষোভ। টানা এক মাসের উপর হয়ে গেলেও দিল্লির সীমান্তে প্রতিবাদ-অবস্থান করছেন কৃষকরা। দফায় দফায় বৈঠকের পরেও সম্পূর্ণ সমাধানসূত্র মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীর রাজপথে ট্রাক্টর ব়্যালির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কৃষকরা।
তিন কৃষি আইনের প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাক্টর ব়্যালি করে হাজার হাজার কৃষক৷ ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীতে ট্রাক্টর ব়্যালির ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷ সেই আন্দোলনের শুধু মাত্র ‘মহড়া’ এই ব়্যালি৷ মিছিল শেষে সিংঘু সীমান্ত থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই বললেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা যোগেন্দ্র যাদব।
তিনি বলেন, ‘ওই দিন সিংঘু, টিকরি, গাজিপুর সীমান্ত, হরিয়ানার রেওয়াসান থেকে ট্রাক্টর নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এসে মাঝ রাস্তায় মিলিত হবে কৃষকরা৷ আজ যা দেখলেন তা মহড়া ছিল৷ ২৬ জানুয়ারি আসল হবে৷’ তিনি আরও জানান, ওই দিন হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব থেকে কৃষকেরা এই মিছিলে যোগ দেবেন৷ তারপর দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন তাঁরা৷
পুলিশের অনুমান ওই দিন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ের উপর মিছিলে অংশগ্রহণ করবে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ট্রাক্টর৷ পাশাপাশি হরিয়ানার অপর প্রান্তেও কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় ট্রাক্টর মিছিল করবেন কৃষকেরা৷ এদিকে কনকনে ঠান্ডার জেরে ক্রমেই কাবু হচ্ছেন গাজিয়াবাদে অবস্থানরত কৃষকরা। সেই কৃষকদের ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সিংঘু সীমান্তের কৃষকরা। গাজিয়াবাদের প্রতিবাদীদের জন্যে জ্বালানি কাঠ পাঠালেন তাঁরা।
সম্প্রতি কৃষকদের চারটি দাবির মধ্যে দুটি দাবিতে মান্যতা দিয়েছে সরকার৷ তার মধ্যে রয়েছে, দিল্লি বা দিল্লির সীমান্তবর্তী রাজ্যে খড় পোড়ানোর ক্ষেত্রে শাস্তি থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল কৃষকদের৷ তবে, নিজেদের আন্দোলনে অনড় কৃষকেরা৷ ‘কৃষক বিরোধী’ আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ এই পরিস্থিতিতে সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীর উদ্দেশে ট্রাক্টর মার্চের ফের একবার হুঁশিয়ারি কৃষকদের৷