দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: অন্য দল থেকে বিজেপিতে যাওয়া সবাইকে পাইকারি হারে বিজেপি টিকিট দিচ্ছে না। এমনকি জেতা বিধায়ক যাঁরা যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে তাঁদেরও সব জায়গায় প্রার্থী করছেন না নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা।
কিন্তু সিপিএম থেকে বিজেপিতে যাওয়া রিঙ্কু নস্করকে যাদবপুরে সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করল বিজেপি। রবিবারের তালিকায় এমনটাই দেখা গিয়েছে। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ যে তালিকা দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে রিঙ্কুকে যাদবপুরের লড়াইয়ে নামিয়েছে বিজেপি।
রিঙ্কু ছিলেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। প্রথম রিঙ্কুকে সিপিএম সামনে আনে ২০১৪ সালে। মথুরাপুর লোকসভায় এই তরুণী নেত্রীকে প্রার্থী করেছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। তখন সুজন ছিলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক। তাছাড়া রিঙ্কু ছিলেন গত মেয়াদে কলকাতা পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
রিঙ্কুর স্বামী অনেকদিন ধরেই বিজেপি করছেন। কয়েক মাস আগে রিঙ্কুও যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। সেই সময় বাম থেকে রাম হওয়া নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে রিঙ্কু বলেছিলেন, রাজনীতিতে মতাদর্শ বলে কিছু হয় না। সিপিএম যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে পারে তাহলে আমিও বিজেপিতে যোগ দিতে পারি।
এর আগে দেখা গিয়েছিল হলদিয়ার বিদায়ী সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকে হলদিয়াতেই দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। এদিনের তালিকায় আরও তিন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ককে টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাঁরা হলেন ডায়মন্ড হারবারে দীপক হালদার, উত্তরপাড়ায় প্রবীর ঘোষাল এবং সিঙ্গুরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
তবে রিঙ্কুকে কঠিন কেন্দ্রে লড়তে পাঠিয়েছে বিজেপি। এমনিতে যাদবপুরে বরাবরই বামেদের একটা প্রভাব রয়েছে। উনিশের লোকসভায় দেখা গেছিল যাদবপুর বিধানসভায় তৃতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী পেয়েছিলেন ৮০ হাজার ৬৭০ ভোট, সিপিএমের বিকাশ ভট্টাচার্য পেয়েছিলেন ৬৮ হাজার ৫১৫ ভোট এবং বিজেপির অনুপম হাজরা পেয়েছিলেন ৪৮হাজার ৬৯৬ ভোট। এখন দেখার একদা বাম মুখকে দাঁড় করিয়ে বাম দখলে থাকা যাদবপুরে কতটা ফাটল ধরাতে পারে বিজেপি।