দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে ২০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারের এই ঘোষণাকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র সহ মোদী সমর্থকরা মাস্টারস্ট্রোক হিসাবে আখ্যায়িত করেছিল। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক ‛হাততালি’ও পড়েছে। সবাই অনুমান করতে শুরু করে যে, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে দেশকে বাঁচাতে সরকার এত অর্থ ব্যয় করছে।
তবে সত্যটি হল, জনগণকে ত্রাণ দেওয়ার জন্য মোদী সরকার ২০ লক্ষ কোটি টাকা নয়, মাত্র ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করবে। এবং এটি জিডিপিপি-র ১০ শতাংশ না, বাস্তবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বাড়তি বরাদ্দ বা ‘ফিস্কাল স্টিমুলাস’-এর পরিমাণ জিডিপি-র ১ শতাংশের সামান্য বেশি। তাহলে কেন এত বড় দাবিতে সবাই বিভ্রান্ত হল? সরকারের ব্যালান্সশিটে যদি মাত্র মাত্র ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় হয়, তাহলে বাকি ১৮.৫ লক্ষ কোটি টাকা কোথা থেকে আসবে?
ব্রিটিশ ব্রোকারেজ সংস্থা বার্কলেজ রিসার্চ পুরো ডেটা গণনা করেছে এবং তার প্রতিবেদনে আসল সত্য তুলে ধরেছে। বার্কলেজ ত্রাণ প্যাকেজের বিভিন্ন উৎস যুক্ত করে জানিয়েছে যে, এই আর্থিক প্যাকেজের মধ্যে মাত্র ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা সরকারের ঘর থেকে খরচ হবে। কিন্তু তার জেরেই রাজকোষ ঘাটতি ৩.৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেড়ে ৬ শতাংশে পৌঁছে যাবে বলে বার্কলেজ-এর মত।