নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, তমলুক : হাসপাতাল ভবনের ভিতরে ‛লোকদেখানো’ পরিষ্কার থাকলেও তার বাইরে গোটা চত্বর অপরিচ্ছন্ন। ভবনের পিছনে আগাছা, হাসপাতাল ভবনের পিছন দিকে নর্দমা মজে যাওয়ায় জলও জমছে। আর তাতেই জন্মাচ্ছে মশা। মশার উপদ্রবে নাজেহাল রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। মশার উপদ্রব এক কথায় বলে প্রকাশ করার মতো না।
নিমতৌড়ি থেকে আসা জানে আলমের কথায়, “আমার এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাঁকে দেখতে এসেছি। এখানে যা মশার উপদ্রব তাতে হাসপাতালও নিরাপদ নয়।’’ রোগীর পরিজনেরা বলেন, সন্ধ্যার পর বসা যায় না। এখানে কয়েল দিয়েও কাজ হয় না। একজন আবার মজা করে বলেন, “রাতে যখন ঘুমাই তখন মশা বাবা কয়, মেসো কয়, জেঠা কয়ে ঘুম থেকে তুলে। এরপর কথা বার্তা বলে। মশা যখন মিটিং করে আমরাও তখন মিটিং করে মশারি নিয়ে ঘুমাতে যাই। কিন্তু এর পরেও মশারির ভিতরে মশা প্রবেশ করে আর ঘুমাতে দেয় না।”
রোগীর পরিজনেদের আশঙ্কা, জমা জল ও আগাছায় হাসপাতাল চত্বরই ডেঙ্গির মশার আঁতুরঘর হয়ে দাঁড়াচ্ছে না তো! তমলুক হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে তাই উঠছে প্রশ্ন।