দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত ও কঠোর পরিশ্রমই এনে দিল সাফল্য। উচ্চ-মাধ্যমিকে অঙ্কে ফেল হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা বলে দমে যাননি। সাফল্য পেতে এর কোনও বিকল্প নেই, এটা সবসময় মনে ছিল মহারাষ্ট্রের নাসিকের বাসিন্দা আইএএস অফিসার সইদ রিয়াজ আহমদের। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আইএএস অফিসার হয়ে রিয়াজ আহমেদ এখন সকলের অনুপ্রেরণা।
আর পাঁচটা গড়পড়তা ছাত্র যেমন হয়, তেমনই ছিলেন তিনি। ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষায় অঙ্কে ফেল করেছিলেন। শিক্ষক নাকি বাবাকে তখন বলেছিলেন, সইদ রিয়াজের দ্বারা কিস্যু হবে না। জ়িরো সে। জীবনে কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু কে জীবনে কী করবে তা কি পরীক্ষার নম্বরে ঠিক হয় ! সইদের বাবা বিশ্বাস করতেন, তাঁর ছেলে ঠিক একদিন পাঁচজনের একজন হবে। ছেলের উপর পূর্ণ আস্থা ছিল তাঁর। সেই শিক্ষককে সইদের বাবা তাই উত্তরও দিয়েছিলেন – ছেলে নিশ্চয়ই বড় হয়ে বড় কেউই হবে। বাবাকে হতাশ করেননি সইদ রিয়াজ।
মহারাষ্ট্রের নাসিকের বাসিন্দা সইদ রিয়াজ আহমদ। পুনে ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তর। এমএসসি-র পর সিদ্ধান্ত নেন ইউপিএসসি দেবেন। আইএএস হবেন। শুরু করেন প্রস্তুতি।
সইদ রিয়াজের আইএএস জার্নি ৫ বছরের। ২০১৪-য় শুরু করেন প্রস্তুতি। ১৪, ১৫- প্রিলিমিনারি পাশ করতে পারেননি। ২০১৬-য় প্রিলিমিনারি, মেনসে কোয়ালিফাই করলেও সিলেক্ট হননি। ২০১৭-তেও কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় সাফল্য। অবশেষে ২০১৮-য় ইউপিএসসির হার্ডল টপকে ফেলেন। তবে লড়াইটা যথেষ্ট কঠিন ছিল। একবার তো জার্নি শেষ করার কথাও ভেবেছিলেন। তবে বুঝিয়েছিলেন বাবা। লড়াইয়ের রাস্তাতেই থাকতে বলেন। প্রস্তুতি আরও জোরদার করেন রিয়াজ। সাফল্য আসে।
ইউপিএসসির প্রস্তুতি জীবনের আসল মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। তাই সেই মূল্যবোধের উপর ভর করে এগিয়ে চলা উচিত। পরীক্ষার সময় অত্যধিক পড়াশোনা আর গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা যাতে তৈরি হয়, সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। ইদানিং ইউপিএসসিতে বিশ্লেষণাত্মক দিক বেশি দেখা হচ্ছে। বইয়ের রিভিজ়ন জরুরি। লেগে থাকা আর কঠোর পরিশ্রমই ইউপিএসসিতে সাফল্যের চাবিকাঠি।