দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী আসলে ভাওতাবাজি! সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই মারাত্মক অভিযোগ আনলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, ভোটের আগে কয়েকমাস যাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মানুষ হাপাতাল গেলে ফিরিয়ে দেওয়া না হয় এমন নির্দেশ নাকি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষে। পুরোটাই নির্বাচনি গিমিক এমন অভিযোগই তুলেছেন গেরুয়া শিবিরের নেত্রী।
এদিকে রানাঘাটের জনসভায় তৃণমলননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পের সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীর তুলনা টানেন। দাবি করেন, কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পে শতকরা ৪০ টাকা দিতে হবে। রাজ্যের প্রকল্পে কোনও টাকা দিতে হয় না। প্রশ্ন তোলেন, এবার আপনারাই বলুন, কোন প্রকল্প বেশি ভাল। কোনও নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প না নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। তৃণমূলনেত্রী দাবি করেছেন ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ পরিষেবা পেয়ে গিয়েছেন। ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে ১০ কোটি মানুষকে কার্ড বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ঘোষণা করেছিল রাজ্যের প্রতিটি মানুষ যারা কোনো স্বাস্থ্য বীমার অন্তর্ভুক্ত নন, তাদের প্রত্যেকের কাছেই পৌঁছে যাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। সেই মতো অনেকেই স্বাস্থ্য সাথীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন করেছেন৷ কিন্তু দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার অজুহাতে রোগীকে ফিরিয়েছে হাসপাতাল এমন অভিযোগও এসেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, স্বাস্থ্যসাথী আসলে তৃণমূলনেত্রীর অন্যান্য প্রকল্পগুলির মতই ভাওতাবাজি। এমনকি রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যা নিজে নাকি হাসপাতালগুলির কাছে অনুরোধ করেছেন, ভোটের আগে কয়েকটা মাস কাউকে ফেরাবেন না। এরপরেই বিজেপি সাংসদের দাবি, স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে ঝুলি থেকে বেড়াল বেড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে প্রতিটি রাজ্যবাসী ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্যবিমা পাবেন এমন প্রতিশ্রুতিও এদিন দেন লকেট।