দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় নিভারের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক সাইক্লোন ধেয়ে আসছে সাগরের বুক ধরে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, নিভার সরে যেতেই আরও এক নিম্নচাপ শক্তি বাড়াচ্ছিল। তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে। আবহবিদরা জানিয়েছে, এই ঝড় আরও শক্তি বাড়াচ্ছে ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। দিল্লির হাওয়া অফিস এই সাইক্লেন নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কেরল-তামিলনাড়ুর উপকূলে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এবার ঘূর্ণিঝড় বুরেভির অভিমুখ কেরলের দিকে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘূর্ণিঝড়টি শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে। তারপর এটি বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ কন্যাকুমারীতে আছড়ে পড়তে পারে। সে জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে নৌ বাহিনীকে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয় সাতচি বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে উপকূল সংলগ্ন এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ চলছে। কেরলের পাশাপাশি তামিলনাড়ুতেও তৎপরতা চলছে বুরেভির মোকাবিলায়।
আবহাওযার চরিত্র এবার অনেকটাই বদলে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের সমারোহ পড়ে গিয়েছে সাগরে। মৌসম ভবন আগেই জানিয়ে ছিল, আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে একাধিক। সেইমতো ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’ আর ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’ একইসঙ্গে হানা দিয়েছে দুই সাগরে। আর নিভারের প্রভাব কাটতে না কাটতেই সাগরে হানা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুরেভি।
আইএমডির পূর্বাভাস মতো ২ ডিসেম্বর অর্থাৎ বুধবার শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালি এলাকা থেকে এই ঝড় সরে যাবে পশ্চিম দিকে। সেই কারণেই ঝড়ের মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে কেরল ও তামিলনাড়ুর। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার এই ঝড় ভারতের উপকূলে আছড়ে পড়ার পর পশ্চিম দিকে চলে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।
ঘূর্ণিঝড় বুরেভি শ্রীলঙ্কায় ৯৬ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে প্রাথমিকভাবে। সেখানে তাণ্ডব তালানের পর পশ্চিমে ধেয়ে এসে ভারতে প্রবেশ করবে কন্যাকুমারী ও পাব্বানের মধ্যস্থ উপকূলে। বর্তমানে এটি কন্যাকুমারী থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। উপকূলে জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।