দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ, কৃষক-মৎস্যজীবীদের জন্য বিভিন্ন উপদেশ দিল নবান্ন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২২ মে নাগাদ উত্তর আন্দামান সাগর এবং পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যশ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যা আঘাত হানতে পারে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। যা নিয়ে রাজ্যের কৃষক ও মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করেছে নবান্ন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২২ মে রবিবার নাগাদ পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। যা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ২৬ মে বিকেল নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে ২৫ মে বিকেল থেকেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। আস্তে আস্তে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পরিমাণও বাড়বে।
ঘূর্ণিঝড় এবং ভারী বৃষ্টির কারণে মাঠে থাকা ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে নবান্ন। যার জন্য কৃষকদের বেশ কিছু উপদেশও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মাঠে থাকা বোরো ধান কেটে গুদামজাত করতে হবে। এব্যাপারে প্রয়োজনে যন্ত্রের সাহায্য নিতে হবে। তৈলজীব যেমন বাদাম, ডালশস্য কেটে সুরক্ষিত জায়গায় রাখতে হবে। তিল ও পাটের জমি থেকে যাতে খুব তাড়াতাড়ি বৃষ্টির জমা জল বের করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। ঝড়-বৃষ্টিতে পেঁপে-কলা জাতীয় ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই সেইসব গাছ যাতে ভেঙে না পড়ে, তার চেষ্টা চালাতে হবে। সবজির মাচা, পানের বরোজকে শক্ত করে বাঁধতে হবে। সবজির জমি থেকে খুব তাড়াতাড়ি জমা জল বের করার ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরে প্রয়োজনে ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়া দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ২১ মে-র পর থেকে সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করবে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকবে ২৫-২৭-মের মধ্যে। সেই জন্য মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে, যাঁরা গভীর সমুদ্রে যাচ্ছেন কিংবা গিয়েছেন, তাঁরা যেন ২৩ মের মধ্যে উপকূলে ফেরত আসেন। আর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২৪ মের পর থেকে তাঁরা যেন সমুদ্রে যা যান।
এই সমস্ত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও কোভিড বিধি মানতে হবে। যা নিয়ে নবান্নের তরফ থেকে বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক, গামছা ব্যবহার করতে হবে। সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার বিধিগুলি সাবধানতার সঙ্গে পালন করতে হবে।