দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও করোনা ওষুধের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। যার জেরে বহু করোনা আক্রান্ত রোগী সময়মতো অক্সিজেন ও ওষুধ পাচ্ছেন না। অতিমারীর সময় বহু অসাধু ব্যবসায়ী করোনার ওষুধ ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বেআইনিভাবে মজুত করে রাখছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এই ব্যাপারে এবার আদালত কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। সেখানে বহু মানুষ অক্সিজেন সিলিন্ডার ও করোনার ওষুধ সময়মতো পাননি। একের পর এক অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিভিন্ন থানায়। সেই সব মামলা উঠেছে আদালতে। আর এবার আদালত এই ব্যাপারে কৈফিয়ৎ চেয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলারের কাছে। দিল্লি হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, এখনও পর্যন্ত কেন বিভিন্ন ডিলার ও লাইসেন্স হোল্ডারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি! এদিন ড্রাগ কন্ট্রোলারের কর্তাদের কার্যত তিরস্কার করেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিরা।
অতিমারীতে নিজের ফাউন্ডেশানের তরফে মানুষের মধ্যে করোনার ওষুধ বিলিয়ে দিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। কোভিডের ওষুধ ফ্যাবিফ্লু সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন তিনি। কোথায়, কখন এই ওষুধ বিতরণ করা হবে তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দিয়েছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার। তারপর থেকেই বিপত্তি বেড়েছে তাঁর। মহামারীর সময় কী করে গৌতম গম্ভীরের সংস্থা এত ওষুধ মজুত করে রাখে! এই নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। আর এবার গম্ভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল আদালতে। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে বেআইনিভাবে করোনার ওষুধ মজুত এবং বিতরণের জন্য গৌতম গম্ভীরকে দোষী বলে জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। এদিন সকালে ড্রাগ কন্ট্রোলার-এর কাছে আদালত জানতে চেয়েছিল, অন্য ডিলার ও লাইসেন্স হোল্ডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও গৌতম গম্ভীর-এর বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না কেন! সেই সময়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার আদালতকে নিশ্চিত করে এবার গম্ভীরের সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নামবে তারা।
দিল্লির সাংসদ প্রবীন কুমারের বিরুদ্ধেও করোনার ওষুধ মজুত করে রাখার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। তাঁকেও দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ড্রাগস এন্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। এই মামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট ড্রাগ কন্ট্রোলারকে ছসপ্তাহের মধ্যে জমা দিয়ে বলেছে আদালত। ২৯ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।