দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: করদাতাদের জন্য দুঃসংবাদ! আয়করে ছাড় দিল না কেন্দ্র। বাজেটের আগে বিশেষজ্ঞরা আশা করেছিলেন, বাজারে চাহিদা, কেনাকাটা বাড়াতে আয়করে বড় ছাড় দিতে পারে মোদী সরকার। অর্থনীতিবিদরা প্রথম থেকেই বলে এসেছেন, ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে সামাল মানু্ষের হাতে যাতে নগদ অর্থ বাড়ানো যায়, এখন সেটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত কেন্দ্রের। কিন্তু তার পাশাপাশি রাজকোষ ঘাটতির বিষয়টি নিয়েও যথেষ্ঠ চিন্তা ছিল। বাজেটের পর দেখা গেল, সে দিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজকোষের ওপর চাপ বাড়াতে চায়নি কেন্দ্র।
চাকরিজীবী এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ‘স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন’ যেমন ছিল, তাই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ আয়কর অপরিবর্তিত। শুধু পঁচাত্তোরোর্ধ্ব পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে বড় ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। তাঁদের ক্ষেত্রে আয়ের এক মাত্র রাস্তা সঞ্চিত অর্থ থেকে পাওয়া সুদ। এদিন নির্মলা জানান, এই সুদের অর্থের ওপর তাঁদের আর কোনও কর দিতে হবে না।
গত বছর নতুন আয়কর কাঠামো চালু করেছিল কেন্দ্র। সঙ্গে পুরনো কর কাঠামোও বহাল ছিল। পার্থক্য একটাই ছিল, পুরনো আয়কর কাঠামোর তুলনায় নয়া কর কাঠামোয় করছাড়ের সুযোগ বেশি ছিল, কিন্তু অন্যান্য কিছু সুবিধা বর্জন করতে হয়েছিল আয়করদাতাদের। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল হওয়ায় অধিকাংশ করদাতাই পুরনো কর কাঠামো ছেড়ে বেরিয়ে আসেননি। যার ফলে প্রত্যাশামতো করসংগ্রহ করতে পারেনি কেন্দ্র। শোনা গিয়েছিল, এবার সেই ভুলই শুধরে নিয়ে নতুন কর কাঠামোর আওতায় একাধিক সুবিধা দিতে পারে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রকের এক সূত্রের দাবি ছিল, বছরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।