দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ‛ভারত’ না ‛ইন্ডিয়া’? মঙ্গলবার দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবথেকে বেশি আলোচনা হয়েছে এই দুই নাম নিয়ে। জল্পনা শুরু হয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে দেশের নাম শুধুই ‘ভারত’ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের জন্যই আগামী ১৮-২২ ডিসেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে বলেও জল্পনা দানা বেঁধেছে। আর সেই সঙ্গেই আলোচনায় চলে এসেছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নানা প্রকল্প-কর্মসূচি-স্লোগানে ব্যবহৃত ‘ইন্ডিয়া’ নামের ‘ভবিষ্যৎ’। জল্পনা চলছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের নামবদল এবং পাসপোর্ট, আধার, প্যান, ভোটার কার্ড থেকে ইন্ডিয়া নাম ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা নিয়েও। গোটা দেশ যখন এবিষয়ে আলোচনায় ব্যস্ত তখন জেনে নিন কিছু তথ্য।
নিরঞ্জন ভটওয়াল নামে মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি ২০১৫ সালে ‘ইন্ডিয়া’ নাম বাতিল করে কেবলমাত্র ‘ভারত’ নামটিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে সুপ্রিমকোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর এবং বিচারপতি ইউইউ ললিত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। ওই রায়ের আগে ২০১৫-র নভেম্বরে সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা দিয়ে মোদী সরকার জানিয়েছিল, ভারতীয় সংবিধানের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ দু’টি নামই রয়েছে। তার পরিবর্তন ঘটনোর প্রয়োজন নেই। মোদীর জামানায় ২০১৬ সালে দুই বিচারপতির বেঞ্চ রায়ে ‘ইন্ডিয়া’ নাম বাতিলের আর্জি খারিজ করে বলেছিল, ‘‘এ ধরনের আবেদন অর্থহীন।’’