সুরাইয়া খাতুন
ডাক্তার কাফিল খান আজ সারা দেশে বহুল চর্চিত এক নাম। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে ৬০ শিশুর মৃত্যুর জেরে শিরোনামে এসেছিলেন এই কাফিল খান। যোগী সরকারের সমস্ত ষড়যন্ত্র ও অভিযোগ নসাৎ করে তিনি জয়ী হন।
তাঁকে দেখেছি একের পর এক মানবিকতার নজির স্থাপন করতে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে গরীর মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখেছি বার বার। ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে পৌঁছে গেছেন অসুস্থদের সেবায়।
এহেন কাফিল খান আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশোধিত নাগরিকতা আইন (সিএএ) এর বিরোধিতা করেন।
তাঁর বিরুদ্ধে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের সিভিল লাইন্স থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধিতে প্ররোচিত করা) ধারায় একটি এফআইআর দায়ের হয়। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই মুম্বাই থেকে ২৯ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
তারপর থেকে একের পর এক শুনানি হলেও আজও তিনি মথুরার অন্ধকার জেলে নানা অত্যাচারের স্বীকার। তাঁর স্ত্রী একদা অভিযোগ করেন, জেলে তার জীবন বিপন্ন। আজ দেশ জুড়ে ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস পালন হল। কিন্তু এক মানবদরদী ডাক্তারের বাক্ স্বাধীনতা হরণ করে গ্রেফতার করা হয়। এটা কিসের স্বাধীনতা যেখানে মানব সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার সুবিচার পায় না! সুবিচার পায় না মুসলিম হওয়ার জন্য! সুবিচার পায় না জনবিরোধী সরকারের স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে। এই স্বাধীনতা তাই বড়ো একপেশে, বিস্বাদ স্বাধীনতা!