দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণগঞ্জের পর চাপড়াতেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সংযুক্ত মোর্চার অন্যতম শরিক আইএসএফ প্রার্থী দেওয়ার পরও নিজেদের প্রতীকে প্রার্থী দিল সিপিএম। ফলে ভোটের মধ্যেই জোট নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি পেল। আসন সমঝোতা হওয়ার পরও জোটে বিঘ্ন ঘটছে। বারবার একদল প্রার্থী দিচ্ছেন অন্য দলকে ছাড়া আসনে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে নদিয়ার রানাঘাটে ঘটে এমন ঘটনা। রানাঘাট মহকুমা শাসকের অফিসে গিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী ঝুনু বৈদ্য। সিপিএমের দাবি, আইএসএফ প্রার্থী অনুপ মণ্ডলের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিজেপির। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন।
শুধু কৃষ্ণগঞ্জেই নয়, চাপড়ার আইএসএফ প্রার্থী কাঞ্চন মৈত্রকে নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে কংগ্রেস অভিযোগ করে আসছে একেবারে প্রথম থেকে। এক্ষেত্রে অভিযোগ, কাঞ্চন মৈত্রের সঙ্গেও বিজেপির যোগ রয়েছে। তিনি ২০০১ সালে চাপড়া থেকে এবং ২০০৬ সালে শান্তিপুর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন।
আইএসএফ প্রার্থীকে নিয়ে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আর্জিও জানায় জেলা নেতৃত্ব। জেলা নেতৃত্বের দাবি আইএসএফের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের কথা হয়েছে। তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় শেষপর্যন্ত নিজেরা প্রার্থী দিতে বাধ্য হয়েছে সিপিএম। শনিবার একেবারে শেষ বেলায় সিপিএম প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন জাহাঙ্গির বিশ্বাস।
জাহাঙ্গির সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক। ২০১২-১৬ সাল পর্যন্ত এসএফআই-এর জেলা কমিটির সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি দলে্র সর্বক্ষণের কর্মী। সিপিএমের এই প্রার্থীকে নিয়ে আবার অনাস্থাজ্ঞাপন করেছে কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক। কংগ্রেসের দাবি সিপিএম জোট ধর্ম পালন করছে না। ফরওয়ার্ড ব্লকও বলছে, সিপিএম প্রার্থী দিয়ে ঠিক করল না।
আইএসএফের প্রার্থী কাঞ্চন মৈত্রের কথায়, যদি জোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে চাপড়ার সিপিএম। আর সিপিএম প্রার্থী জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, আমরা জোট চেয়েছিল বলেই চাপড়া আইএসএফকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তা বলে বকলমে বিজেপির হাতে আসন ছেড়ে দেওয়া যায় না।