কলকাতা, ২৮ আগস্ট: রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পর থেকে আইএসএফের সঙ্গে সিপিআইএম নেতৃত্বের আদায়–কাঁচকলায় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শেষ চার মাসে মাত্র একবার তাঁরা আলোচনার টেবিলে বসেছিলেন। নির্বাচনী পর্যালোচনায় পার্টির চিঠিতেও ব্যর্থতার জন্য আইএসএফের সঙ্গে জোটকেই দায়ী করা হয়েছে। এতকিছুর পরেও আইএসএফের কর্মসূচিতে বাম নেতৃত্বকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার মধ্যমগ্রামে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে থাকবেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সূত্রের খবর, এখানেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এমনকী সপ্তাহ–শেষে মালদা-মুর্শিদাবাদের ভাঙনে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে যাবেন নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন মহম্মদ সেলিম এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এখন দেখার সেখানে বিমান বসু যান কিনা। সম্পর্ক মেরামতি হয় কিনা সেটাও দেখার।
একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর সীতারাম ইয়েচুরি দলের অভ্যন্তরে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বাংলার নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন, এই জোট স্রেফ নির্বাচনী জোট। আর যৌথ কর্মসূচির আয়োজন না হওয়ায় জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সংযুক্ত মোর্চার যৌথ কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত এই জোটকে টিকিয়ে রাখতে পারবে? সিপিআইএমের ভেতরের খবর, যতক্ষণ পর্যন্ত না কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এই জোট নিয়ে কোনও ইতিবাচক সংকেত আসছে, ততক্ষণ জোট টিকে যাওয়ার আশা ক্ষীণ।
এই বিষয়ে আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘আমরা সিপিআইএমের সঙ্গে জোট বজায় রাখতে আগ্রহী। কারণ সম্পর্ক এখনও তিক্ত হয়নি। বামেদের পক্ষ থেকে যে স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়েছে তা আমার হাতে এখনও এসে পৌঁছয়নি। আমি পড়িনি। ওঁদের যদি মনে হয় আইএসএফের সঙ্গে জোটের জন্য পরাজয়, তবে বলে দেওয়া হোক কোথায় কোথায় আমাদের ভুল হয়েছে।’