দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে ভারতের যুদ্ধবিমান নির্মানকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড তথা হ্যালের এক সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেনা গোয়েন্দা ও মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসাররা অভিযান চালিয়ে নাসিক থেকে গ্রেফতার করে হ্যালের ওই কর্মীকে।
গ্রেফতার হওয়া ওই ‛হিন্দু সন্ত্রাসবাদী’র নাম দীপক শিরসাথ। বয়স ৪১ বছর। নাসিকে হ্যালের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করত দীপক। ব্যক্তিগত এবং অফিসের কম্পিউটার থেকে আইএসআই-যোগের একাধিক প্রমাণ মিলেছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
নাসিক থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরত্বে হ্যালের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট রয়েছে। মুম্বই থেকে যা প্রায় ২০০ কিলোমিটার। এখানে মিগ ফাইটার জেট তৈরির কাজ হয়। মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসাররা বলছেন, যুদ্ধবিমানের গোপন তথ্য পাচার হচ্ছে এমন খবর মিলেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরে দীপকের খোঁজ পাওয়া যায়। তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, পাঁচটি সিম ও দুটি মেমরি কার্ড উদ্ধার হয়েছে।
ডিসিপি বিনয় রাথোড় বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই আইএসআইকে তথ্য পাচারের কাজ করছিল দীপক। হোয়াটসঅ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরে পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ট যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, ফাইটার জেটের প্রোটোটাইপের নকশা ও প্রযুক্তিগত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আইএসআইয়ের কাছে চালান করেছে দীপক।
গোয়েন্দা অফিসাররা বলছেন, দীপকের ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর তথ্য মিলেছে। পাকিস্তানের একাধিক ফেসবুক আইডি-র ব্যক্তির সঙ্গে চ্যাট করার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড জেট ইঞ্জিন, এয়ারক্রাফ্ট, হেলিকপ্টারের নকশা তৈরি করে। বেঙ্গালুরু, নাসিক, কানপুর, লখনৌ, হায়দরাবাদে হ্যালের ইউনিট রয়েছে। ১৯৬৪ সাল থেকে মিগ ফাইটার জেট তৈরির লাইসেন্স পায় হ্যাল। মিগ-২১-এফএল যুদ্ধবিমান ও কে-৩ মিসাইলের প্রযুক্তি হ্যালেরই তৈরি। বর্তমানে মিগের উন্নত ভ্যারিয়ান্ট তৈরি করছে হ্যাল। মিগ-২১এম, মিগ-২১ বাইসন জেট, মিগ-২৭ এম, সুখোই-৩০ এমকেআই ফাইটার জেটের প্রোটোটাইপ তৈরি হয়েছে হ্যালে।