Thursday, September 19, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

আরএসএসের ইচ্ছায় ইসরায়েলের পাশে মোদী, ফিলিস্তিনের পাশে ছিলেন বাজপেয়ী

দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : হামাস-ইসরায়েল সংঘাত নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‛আমরা যুদ্ধে আছি।’ তারইমধ্যে ইসরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরাসরি হামাসকে জঙ্গি বলে উল্লেখ করে মোদী জানান, ইসরায়েলে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত ভারত। এই কঠিন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি ইজরায়েলের পাশে আছে।

আজ যে বিজেপি বা বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেই বিজেপিই একসময় ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষে সরব ছিল। ১৯৭৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। ১৯৭৭ সালে ২৭০ আসনে জয়লাভ করে কেন্দ্রে প্রথম অ-কংগ্রেসি সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। বিজয় সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাজপেয়ী।

তিনি বলেছিলেন, আরবের যে জমি ইসরায়েল দখল করে বসে আছে, তা তাদের খালি করতে হবে। ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনিদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যদিও উপপ্রধানমন্ত্রী হয়ে ইজরায়েল সফর করেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। প্রধানমন্ত্রী হয়ে অটলবিহারী বাজপেয়ী স্বাগত জানান সে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর দেখা গিয়েছে মোদী-নেতানিয়াহু ঘন-ঘন আলিঙ্গন, কখনও সৈকতে সমুদ্রে পা ভিজিয়ে গল্পের দৃশ্য। দুই দেশের সম্পর্ক এরপর থেকেই বেশ ভালো। তবে শুরুর দিকে অনেক ঝক্কিও পোহাতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।

২০১৪ সাল। নরেন্দ্র মোদী হওয়ার সাত মাসের মাথায় ইস্তফা দেন তৎকালীন বিদেশসচিব সুজাতা সিংহ। অবসরের ৭ মাস বাকি থাকতেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি। সুজাতাকে সরানোর পিছনে অন্যতম কারণ নাকি ছিল এই ইসরায়েলই। মোদী ইসরায়েলকে অগ্রাধিকার দিলেও, সুজাতার নেতৃত্বে বিদেশ মন্ত্রক ব্রিকস সম্মেলনে ইসরায়েলের সমালোচনা করে একটি অনুচ্ছেদ যোগ করেছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভারতের ভোট দেওয়ার অবস্থান নিচ্ছিলেন সুজাতা, যেটি মোটেই পছন্দ হয়নি মোদীর।

মোদীর ইসরায়েল প্রীতির বীজ আসলে বপন হয়েছিল অনেক আগেই। বহু দশক ধরে আরএসএসও চাইছিল ইসরায়েলের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলুক ভারত। দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক এম এস গোলওয়ালকারের সময় থেকে যার শুরু। তৃতীয় সরসঙ্ঘচালক বালাসাহেব দেওরস ওরফে মধুকর দত্তাত্রেয় দেওরসের ভাই ভাউরাও দেওরস তো আরও সক্রিয় ছিলেন এ বিষয়ে। এক সঙ্ঘ-নেতার মতে, ইসরায়েল ইসলামের এক বিপরীত প্রতীক। তারা প্রাচীন হিব্রু ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিল, দেওরসও চেয়েছিলেন সংস্কৃতের পুনরুদ্ধার। ইসরায়েলের জাতীয়তাবাদের ভাবনাও আকৃষ্ট করেছিল তাঁকে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!