Friday, November 22, 2024
Latest Newsদেশফিচার নিউজ

সোশ্যাল সাইটে পোস্ট, সাংবাদিক ডঃ জাফরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা! উদ্বেগ প্রকাশ জামাআতের

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৈনিক সমাচার, নয়াদিল্লি : দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ জাফরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ভারতীয় দন্ডবিধির আওতায় গুরুতর ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে। এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জামাআতে ইসলামী হিন্দের সর্বভারতীয় সভাপতি সাঈয়েদ সাদাতুল্লাহ হোসাইনী বলেছেন, ‛জাফরুল ইসলাম খান একজন স্বনামধন্য, শ্রদ্ধেয় বুদ্ধিজীবী, লেখক ও সাংবাদিক। তাঁর লিখিত বই উর্দু, ইংরেজী ও আরবীতে বিশ্বব্যাপী পঠিত হয়। দিল্লি সংখ্যালঘু কমিশনের মতো আইনগত ও আধা-বিচারিক সংস্থার তিনি চেয়ারম্যন। অফিসিয়াল কর্তব্যের নিরিখে, সংখ্যালঘুদের উপর বিভিন্ন প্রকারের অবিচার সংঘটিত হওয়ায় তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছিলেন। যদি তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল হয়ে থাকে তাহলে স্পষ্ট যে, কোন বিশ্বস্ত ব্যক্তিবর্গ আবার গণতান্ত্রিক সংস্থার যাঁরা দায়িত্বশীল মানুষ, তাঁরা পর্যন্ত পুলিশি অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছে না। যা পুরো জাতির জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়।’

জামাআত সভাপতি বলেন, ‛জাফরুল খান সোশ্যাল মিডিয়াতে যে পোস্ট করেছেন, তার কোনো বিষয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে, তাই বলে এফআইআর সে বিষয়গুলিকে নিয়ে দাখিল হতে পারে কি? অথচ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তথাপি এফআইআর করা হল। স্পষ্টত সোস্যাল মিডিয়ার ট্রোল এবং ঘৃণা ছড়ানোর কারবারি চ্যানেলগুলির চাপে তা করা হয়েছে। সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কিরূপ বিষাক্ত বিদ্বেষ সংখ্যালঘু সমাজ এবং তাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করেই করা হচ্ছে তা পরিষ্কারভাবে সকলে অবগত।’ জাফরুল ইসলাম খান সংখ্যালঘুদের সমস্যার ব্যাপারে যথাযখ যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন সাদাতুল্লাহ হোসাইনী।

জামাআতের সভাপতি আরও বলেন, ‛সঠিক সময়ে খান সাহেবের পদক্ষেপে দিল্লির মুসলিম, শিখ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মনে আস্থা জাগিয়েছে। ধর্মীয় সহিংসতা ও উগ্রপন্থার বিরূদ্ধে তিনি সবিস্তারে বিশ্ববাসীকে অবহিত করেছেন লেখনীর মাধ্যমে। আইসিস এবং অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনগুলির বিরূদ্ধে খুরধার কলম চালিয়েছেন। বিবৃতি দিয়েছেন, দেশে সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্রপন্থার বিরূদ্ধে আজ তিনি যদি কিছু বলে থাকেন তা দেশের জনগণের প্রতি ভালোবাসার মনোভাব নিয়েই বলেছেন। সেই দৃষ্টিতে একে দেখতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা দিল্লি পুলিশকে তুলে নিতে হবে। সামাজিক বিভাজন ঘটাতে যে সকল লোক তাঁর বিবৃতির অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন সেগুলিকে বন্ধ করতে হবে।’

 

Support Free & Independent Journalism

Leave a Reply

error: Content is protected !!