দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : হাওড়া জেলার টিকিয়াপাড়ার ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন জামাআতে ইসলামি হিন্দের রাজ্য সভাপতি মাওলানা আব্দুর রফিক। তিনি এক বিবৃতিতে হাওড়া জেলার টিকিয়াপাড়ার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উত্তাল হয়ে ওঠে হাওড়া জেলার টিকিয়াপাড়া। ওই এলাকার বেলিলিয়াস রোডের সন্নিকটে লকডাউনের কোনও নিয়ম মানা হচ্ছিল না। থিকথিকে ভিড়। সামাজিক দূরত্বের বিধির কোনও তোয়াক্কা করা হয়নি।
এসময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ওই পরিস্তিতি সামাল দিতে গিয়েই আক্রান্ত হতে হয় পুলিশ কর্মীদের। একদল উন্মত্ত জনতা তেড়ে আসে পুলিশকে দেখে। উন্মত্ত জনতার সামনে কার্যত দিশাহারা অবস্থা হয়ে যায় পুলিশের। বিশেষ কিছুই করে উঠতে পারেনি পুলিশ। উলটে প্রাণ বাঁচাতে উলটো দিকে ছুটতে শুরু করে পুলিশ। রাস্তার সকল প্রান্ত থেকে ঘিরে ফেলা হয় পুলিশদেরকে। এরপরেই শুরু হয়ে যায় ইট বৃষ্টি। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন।
এঘটনার নিন্দা জানিয়ে জামাআত সভাপতি বলেন, গোটা দেশ করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করছে। এই অবস্থায় এই ধরনের ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মাওলানা আব্দুর রফিকের কথায়, দেশজুড়ে চলা লকডাউন সফল করার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাই এই মহামারী থেকে জনগণকে রক্ষার্থে লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের উপর আক্রমন কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। এই ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দুরভিসন্ধি উদ্দেশ্য নিয়ে এই ধরনের ঘটনাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তৈরী করা হচ্ছে। যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের মাধ্যম হিসাবে একটি মহল ব্যবহার করার অপচেষ্টা করছে যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। পুলিশ প্রশাসনকে আরও সংযমী হতে হবে। কারণ এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে যাতে পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে ফলে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, টিকিয়াপাড়ার অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রেও পুলিশের অতি তৎপরতা ও আগাম লাঠিচার্জের প্রসঙ্গ কোনো কোনো মাধ্যম থেকে উঠে আসছে। যা পুলিশের কাছ থেকে আসা করা যায় না। তিনি রাজ্যবাসীর কাছে জোরালো ভাবে আহ্বান জানিয়েছেন যে, যতই অসুবিধা হোক না কেন, কোনওভাবে যেন আমরা লকডাউন অমান্য না করি এবং প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যায়।
Support Free & Independent Journalism
Wr must obey the Loclk-down rules and the Police also must act accoding to aprroptriae Rules