দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : দেশের ২৫ কোটি মুসলিমদের জন্য প্রকৃত শিক্ষার ব্যবস্থা না করে ভারত কখনও বিশ্ব জ্ঞানের নেতা বা জ্ঞানের সুপার-পাওয়ার হতে পারবে না মন্তব্য করলেন জামাআতে ইসলামি হিন্দের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক বোর্ডের প্রধান নুসরাত আলি। তাঁদের শিক্ষার আলোয় আনার জন্য দেশের ৬০ টি মুসলিম অধ্যুষিত জেলায় বিশেষ শিক্ষাঞ্চল বা ‘স্পেশাল এডুকেশন জোন’ তৈরি করতে হবে বলেও মত নুসরাত আলির। তাছাড়া, নয়া শিক্ষানীতিতে অন্তর্ভুক্তি ও সাংবিধানিক মূল্যবোধেরও প্রচার করা উচিৎ। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানালেন ওই জামাআত নেতা।
তিনি নয়া শিক্ষানীতিতে উর্দু ভাষাকে বাদ দেওয়ার জন্য উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, সরকার মাত্র আটটি ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে কিন্তু উর্দুকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ উর্দু ও আরবি ভাষা শিক্ষার উপর জোর দিলে গাল্ফ দেশ ও আরবিভাষী আফ্রিকান দেশগুলিতে কাজের সুযোগ তৈরি হবে। তিনি অবশ্য উর্দুর পাশাপাশি অন্যান্য ২২ টি ভাষার উন্নয়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। নয়া শিক্ষানীতিতে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপর গুরুত্বারোপ করা হলেও মধ্যযুগের ইতিহাস ও অবদানকে কেন উপেক্ষা করা হয়েছে? সে প্রশ্নও তুলেছেন নুসরাত আলি।
এদিন নুসরাত আলি বলেন, শিক্ষানীতি থেকে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, ধর্মনিরপেক্ষতা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিষয়গুলি উপেক্ষিত হয়েছে। কিন্তু মূল্যবোধের শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করা দরকার। তাঁর আরও দাবি, দরিদ্র পড়ুয়াদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের বাধ্যতামূলক শিক্ষার দাবিও জানান নুসরাত আলি।