দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল : আইএএসের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া শাহ ফয়জলের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হল কঠোর জন নিরাপত্তা আইন। এই আইন অনুযায়ী তিন মাস পর্যন্ত বিনা বিচারে আটকে রাখা যায়। আটক রাখার মেয়াদ বাড়ানো যায় ইচ্ছামতো।
কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করার পরে ১৪ অগাস্ট তিনি বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। এবার তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হল কঠোর জন নিরাপত্তা আইন।
২০১০ সালে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনস্ট্রেটিভ সার্ভিসের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন কাশ্মীরের বাসিন্দা শাহ ফয়জল। গত বছর তিনি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। সংবিধানের ৩৭০ ধারা লোপ করার পর শাহ ফয়জলের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি হয়।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য তিনি আমেরিকা যাচ্ছিলেন। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, তিনি স্টুডেন্ট ভিসা পাননি। ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে যেতে চেয়েছিলেন। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে জননিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর শাহ ফয়জল কড়া ভাষায় দিল্লির সমালোচনা করেন। তিনি ডাক্তারি পাশ করেছিলেন। কাশ্মীরে ‘নির্বিচারে হত্যা’ ও ‘ভারতের মুসলিমদের মূলস্রোত থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে’ তিনি আইএএসের চাকরি ছেরেছিলেন।
সব খবর এইবার আপনার হোয়াটসঅ্যাপে! আমাদের গ্রুপে যুক্ত হোন বিনামূল্যে
আমাদের সব খবর পড়ুন এইবার মোবাইল অ্যাপে। ডাউনলোড করুন বাংলার সেরা নিউজ অ্যাপ