দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি, আরএসএসের আডবানি, উমা ভারতী সহ ৩২ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। যদিও এই রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশবাসী। মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার কথাও ঘোষণা দিয়েছে। সুপরিকল্পিত ভাবেই ধ্বংস করা হয়েছিল বাবরি মসজিদ, ফের এমনটাই দাবি তদন্তকারী বিচারপতি লিবারহানের।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার পরে ১৯৯২ সালেই গঠিত হয়েছিল একটি তদন্ত কমিশন। সেই কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন জাস্টিস মনমোহন সিং লিবারহান। সেই বিচারপতি লিবারহান এদিন ফের মুখ খুললেন বাবরি ধ্বমস মামলায় রায়দানের পর। আর এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা লিবারহান জানান যে তিনি এখনও বিশ্বাস করেন যে এই ঘটনা সুপরিকল্পিত ছিল।
বুধবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত বাবরি মামলায় রায় ঘোষণা করার পর জাস্টিস লিবারহানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমার আজও স্পষ্ট মনে আছে যে আমার তদন্তে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম যে এই ঘটনা একটি ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের ফলে হয়েছিল।’
জাস্টিস লিবারহান আরও বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিল না যে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাটি সুপরিকল্পিত ভাবে ঘটানো হয়েছিল। আমার স্পষ্ট মনে আছে যে উমা ভারতী সেই সময় নিজের দোষ স্বীকার করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছিলেন সেই ঘটনার।’
২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল লিবারহান কমিশনের রিপোর্ট। কমিশনের পেশ করা প্রতিবেদনে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পেছনে বিজেপির শীর্ষ রাজনীতিবিদদের ভূমিকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। রিপোর্টটি প্রকাশ পেতেই সেই সময় এনিয়ে সংসদে হট্টগোল হয়েছিল বিস্তর। এবং এদিন বাবরি মামলার রয়দানের পরও জাস্টিস লিবারহান দাবি করেন, অভিযুক্ত নেতারা সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।