দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক: আগেই কৃষি বিল নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে নেমেছে কংগ্রেস। সোমবার সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা যেন কেন্দ্রের নতুন কৃষি বিল না লাগু করার জন্য রাজ্য বিধানসভায় আইন পাস করায়। তবে এবার শুধু কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিই নয়, কেন্দ্রের নতুন কৃষি বিলের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিজেপি শাসিত কর্নাটক, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলিও।
সোমবার সকালে বেঙ্গালুরু সহ কর্নাটকের বিভিন্ন শহরে কেন্দ্রের নতুন কৃষি বিল এবং রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া নতুন কৃষি পণ্য বাজার কমিটি বা এপিএমসি বিল এবং নতুন জমি অধিগ্রহণ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। বিজেপির নতুন জমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় অকৃষকরা খুব সহজেই কৃষি জমি কিনতে পারবেন। দুপুরের মধ্যেই বেঙ্গালুরু টাউন হলের বাইরে কয়েকশো কৃষক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। শহরের একাধিক রাস্তায় অবরোধ করা হয়। হুবলিতে চেন্নাম্মা সার্কলে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখায় আইএনটিইউসি এবং বামেরা। কোডাগু জেলার মাদিকেরিতে বিক্ষোভে সামিল হয় জেডিএস এবং এসডিপিআই।
কর্নাটক কৃষক সংগঠনের সভাপতি কে চন্দ্রশেখর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী দুজনেই কৃষকদের মিথ্যা বলছেন। বেঙ্গালুরুতে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস খুব পরিষ্কার, নরেন্দ্র মোদী এবং বিএস ইয়েদিউরাপ্পা, দুজনেই কৃষি ক্ষেত্রের জন্য ক্ষতিকারক।’
আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাতেও সোমবার একই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখায় রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস। কারণ সেখানকার বিধানসভাও এপিএমসি আইন পাস করেছে। কয়েকশো কংগ্রেসকর্মীকে আটক করা হয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমিত চাওড়া বলেন, রাজ্য এবং কেন্দ্র যৌথভাবে কৃষকদের কণ্ঠকে থামিয়ে দিতে চাইছে। কারণ তারা শুধুই শিল্পপতিদের কথা ভাবছে।