দৈনিক সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক : ওয়াসিম আহমদ নাদাফ, বয়স মাত্র ২২। এই যুবক বরাবরই এমন কিছু করে দেখিয়েছেন যা দেখে অবাক হয়েছে বিশ্ব। বিচিত্র সব উদ্ভাবনে অনেক আগেই নজর কেড়েছেন সকলের। এবার কাশ্মীরের এই যুবক করোনা সংকটে স্বাস্থ্যব্যবস্থার সহায়তা নজিরবিহীন কাজ করলেন। তাঁর কাছে না ছিল কোনও আধুনিক যন্ত্রাংশ, না ছিল নিজের কারখানা। কিন্তু তিনি বানিয়ে দেখালেন আস্ত জীবনদায়ী ভেন্টিলেটর, তাও আবার নানান বর্জিত পদার্থ থেকে।
ওয়াসিমের দাবি, সাইজে ছোট বলেই নাকি এই ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। বিশেষ করে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষদের কথা মাথায় রেখে ভেন্টিলেটর তৈরি করেছেন তিনি। স্থানীয়দের কাছে ‘ইউনিক ওয়াসিম’ নামে পরিচিত এই যুবক এর আগে ছোটবড় প্রায় ৩২টি বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন করেছেন।
কিন্তু তাঁর মতে, এই অসময়ে সবথেকে বেশি প্রয়োজন ছিল লাইফ সাপোর্ট ভেন্টিলেটরটির।
ওয়াসিম নাদাফ অবশ্য করোনা আসার পর থেকেই এই ভেন্টিলেটর তৈরির জন্য রাত দিন মেহনত করেছেন। বলছেন, ‘করোনা অতিমারির রুপ নেওয়ার পর থেকেই কিছু একটা তৈরির কথা ভাবতে থাকি। সমাধান অনেক জায়গা থেকেই আসতে পারে তবে এর জন্য দক্ষ ও সাশ্রয়ী আবিষ্কারের দরকার ছিল। কারণ বস্তিতে যে সকল মানুষ থাকেন তাদের কাছে প্রচলিত ভেন্টিলেটর পাওয়ার মতো অর্থ নেই। এই কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বর্জ্য জমা করে নতুন ধরনের লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বানিয়ে ফেলি। এটি স্থানীয়ভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।’
কিন্তু কীভাবে এই অবিশ্বাস্য উদ্ভাবন করে ফেললেন তিনি? ওয়াসিম নাদাফ বলছেন, ‘আমি বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার পার্টস, ভিসিডি প্লেয়ার ও ইনভার্টার থেকে বর্জ্য যন্ত্রাংশ জমাতে থাকি। প্রতিবেশী ও বন্ধুদের থেকেও একই রকম জিনিস চেয়ে পাঠাই। এরপর আমি প্রোটোটাইপ বা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারযোগ্য ভেন্টিলেটর তৈরিতে সফল হই।’ বলাই বাহুল্য, করোনার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিশ্ব যখন চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে ধুঁকছে ঠিক তখনই কাশ্মীরের এই মুসলিম যুবক এই ক্যারিশ্মা করে দেখালেন। ওয়াসিমের এই উদ্ভাবন বহু মূল্যবান ভেন্টিলেটরের থেকে কোনও অংশেই কম যায় না।